সংক্ষিপ্ত
কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে পদত্যাগ ফিরহাদ হাকিমের। তবে তিনি শুধু একা নয়, সঙ্গে পদত্যাগ করলেন প্রশাসকমন্ডলীর আরও ১১ সদস্য।
কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে পদত্যাগ ফিরহাদ হাকিমের। শনিবার নগরোন্নয়ন দফতরে গিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা করেছেন ফিরহাদ হাকিম (Transport Minister Firhad Hakim)। তবে তিনি শুধু একা নয়, সঙ্গে পদত্যাগ করলেন প্রশাসকমন্ডলীর আরও ১১ সদস্য। এবং এরা সকলেই পুরভোটের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) পদে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কলকাতা পুরভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির জেরে সেই নির্বাচন পিছিয়ে যায়। বদলে পুর প্রশাসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। এদিন পদত্যাগ করা ১২ জনই শাসকদলের মনোনিত প্রশাসক ছিলেন। এবার ভোটে রাজ্য়ে তৃণমূলের হয়ে ফের টিকিট পেয়েছেন তাঁরা। তাই প্রশাসনিক নিয়ম মেনেই মনোনয়ন জমা করার আগে প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তাঁরা। শুধু ৯৩ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর তথা প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য রতন দে এবার পুরভোটের টিকিট পাননি। তাই এদিন তিনি পদত্যাগ পত্র পেশ করেননি। ফিরহাদ ছাড়া অতীন ঘোষ, দেবাশিষ কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, রামপেয়ারে রাম, ইন্দ্রণী সাহা বন্দ্য়োপাধ্যায়, সামুসুদ্দিনজামান আনসারি, মনজার ইকবাল, আমিরুদ্দিন ববিরাও ইস্তফাপত্র জমা করেছেন। প্রসঙ্গত, বিধায়ক হয়েও যে চারজন কলকাতা পুরভোটে টিকিট পেয়েছেন, তাঁরা হলেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিষ কুমার, অতীন ঘোষ, রত্না চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, আসন্ন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ১৪৪টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস । সূত্রের খবর পুরভোটে টিকিট পাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম অতীন ঘোষ সহ ছয় জন বিধায়ক। শুক্রবারই কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বৈঠকে বসেন। তারপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হয় বলে খবর। এবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায় যুবক এবং মহিলাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা পুরভোটে এবার ৬ জন বিধায়ককে প্রার্থী করেছে শাসক দল। গতবারের চারজন বিধায়ক, ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, মলয় মজুমদার ও অতীন ঘোষ কাউন্সিলর হলেও একুশের ভোটে তাঁরা বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু, এবার এই চারজনকে প্রার্থী করা ছাড়াও আরও দু’জন দলীয় বিধায়ককে কাউন্সিলর ভোটে লড়াইয়ে নামালো তৃণমূল। প্রার্থীতালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ মালা রায়েরও।জানা গিয়েছে তৃণমূলে এবার প্রার্থীদের মধ্যে ৪০ জন পুরষ (৫৫ শতাংশ)। মহিলা প্রার্থী ৪৫ জন (৪৫ শতাংশ)। তফশিলি জাতিভুক্ত প্রার্থী রয়েছেন ১৯ জন। সংখ্যালঘু প্রার্থী ২৩ জন। এঁদের মধ্যে ২ জন খ্রিষ্টান।