সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেন ফেরত ৪২২ জন পড়ুয়ার ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। নবান্ন থেকে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের।
ইউক্রেন ফেরত ৪২২ জন পড়ুয়ার ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, 'আপনারা জানেন ইউক্রেন থেকে যখন আপনাদের ছেলে মেয়েরা ফেরৎ আসে, তখন আমরা বলেছিলাম যে আমাদের ৪২২ জন ছাত্র ছাত্রী ফেরৎ এসেছে। তাঁদের নিয়ে আসার ব্যবস্থাও আমরা করেছিলাম। এবং তাঁদের সঙ্গে ১৬ মার্চ ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আমরা একটা মিটিংও করেছিলাম। এবং আপনারা সবাই জানেন সেদিনের ঘটনা। এবং আমরা তখন বলেছিলাম, তাদের এই বিষয়টার সঙ্গে সহানুভূতির সঙ্গে এগোব। আমরা শুধু চেয়েছিলাম কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের যে, মেডিক্যাল কাউন্সিল আছে. সেখান থেকে অনুমতি দিক। আমরা ওদের সবার পড়াশোনার ব্যবস্থাটা করে দিতে পারব', বলে জানিয়েছেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, 'দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকেই ছাড়া হবে না', কড়া বার্তা মমতার
মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ব্যবস্থা, ইউক্রেন ফেরৎ ৩ জন শ্রমিককেও কাজ
নবান্ন সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে ইউক্রেন ফেরত ৪২২ জনের মধ্যে মেডিক্যাল পড়ুুয়া ৪১২ জন, বাকিদের মধ্যে ৬ জন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া, ১ জন ভেটেনারি এবং ৩ জন শ্রমিক। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ৬ ছাত্রকে জিআইএস গ্রুপের কলেজে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেডিক্যাল পড়ুয়াদের মধ্যে ৪০৯ জন এমবিবিএস-এর, বাকি ৩ জন ডেন্টালের রয়েছে।৩ জন ডেন্টাল ছাত্রের মধ্যে ১ জন ডেন্টাল ছাত্র যার ষষ্ঠ বর্ষ পূরণ হয়েছে। তাকে কলকাতার ডক্টর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে যা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সেখানে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ২ জন ডেন্টাল ছাত্রকে সরকারি ডেন্টাল কলেজে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস-এর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এরা অনলাইনে ইউক্রেনে ক্লাস করছে। ৪২২ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১ জন ভেটেনারির পড়ুয়া- তাকে সরকারি ভেটেনারি কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ৪২২-জন-এর মধ্যে ৩ জন শ্রমিক ছিল।এর মধ্যে ২ জনকে জেলাশাসকের দফতরে ক্যাজুয়াল কর্মী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে, বাকি ১ জন কাজ চায়নি, তাই তাকে দেওয়া হয়নি-মমতা, ২ ক্যাজুয়াল কর্মীকে ব্যাঙ্ক ঋণ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা ব্যবসাও করতে পারে।
আরও পড়ুন, তাপপ্রবাহের দাপটের মাঝেই সুখবর, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
মেডিক্যালে ৪০৯ জন এমবিবিএস-এর কী হল, একনজরে
ষষ্ট বর্ষের ছাত্র ছিল ২৩ জন, এদের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপ-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পঞ্চম ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রয়েছে যথাক্রমে ৪৩ এবং ৯২-এদের সরকার পরিচালিত বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে. ১৫ থেকে ২০ জন করে ছাত্র এক একটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হবে।তৃতীয় এবং দ্বিতীয় বর্ষের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের মধ্যে সংখ্যাটা ৯৬ এবং ৭৯ মোট ১৭২-এদের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু এরা অনলাইনে ইউক্রেনে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমে-এর মেডিক্যাল পড়ুয়ার সংখ্যা ৭৮, এরমধ্যে ৬৯ জনের নিট কোয়ালিফাই করা রয়েছে, এই ৬৯ জনকে বিভিন্ন প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে ম্যানেজমেন্ট কোটায় ভর্তি করানো হচ্ছে, এর জন্য অবিলম্বে এদের কাউন্সিলিং-এ বসতে বলা হয়েছে, ম্যানেজমেন্ট কোটায় যাতে অতিরিক্ত অর্থ না নেওয়া হয়, সে জন্য রাজ্য সরকার কলেজগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। তবে এই সেগমেন্টে ৯ জন পড়ুয়ার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, এই নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন, নবীনবরণ ঘিরে তোলপাড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, খোদ তৃণাঙ্কুরের বিরুদ্ধেই অভিযোগ টিএমসিপি-র