সংক্ষিপ্ত

 শনিবার সকালেও আকাশের মুখ ভার। এদিনও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।   তবে গতকাল সন্ধ্য়ার মুষলধারায় বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে অনেকটাই স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে।

 শনিবার সকালেও আকাশের মুখ ভার। এদিনও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে গতকাল সন্ধ্য়ার মুষলধারায় বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে অনেকটাই স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে একনাগাড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস এখন উত্তরবঙ্গ। মূলত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।  দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই অতি গভীর নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।  উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জায়গাতেই হালকা-মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর,  ইতিমধ্য়েই অতি গভীর নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পরবর্তীকালে শক্তি হারিয়ে তা আরও সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে অশনি। আলিপুর আবহাওয়া জানিয়েছে, এই সিস্টেমের জন্য, রাজ্যে কোনও সতর্কতা নেই। তবে সমুদ্রের উপর হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকবে। তাই ১২ থেকে ১৫ মে মৎসজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে।  উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন, 'কলকাতা ৭১' বদলাল কি বাইশে ? মৃণাল সেনের জন্মদিনে ফিরে দেখুন পরিচালকের ফ্রেমটা

 আগামী ৫ দিন উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জায়গাতেই হালকা-মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।  উত্তরবঙ্গের ৫ টি জেলায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার কথা বলেছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের ৫ টি জেলা দার্জিলিং, কালিংপঙ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার কথা বলেছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গে কিছুক্ষণের জন্যে বৃষ্টি হবে। তারপর আবার বন্ধ হয়ে যাবে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন, বউবাজারকাণ্ডে মুখ খুললেন মেট্রো কর্তা, 'স্থায়ী সমাধান চাই', সরব ফিরহাদ

 প্রসঙ্গত,  অশনির জেরে কয়েকদিন আগে থেকেই রাজ্যের দীঘা-মন্দারমনি সমুদ্রের তট ঘিরে রাখা হয়। স্নানতো দূর হস্ত, পাড়েও পারলে আসছেন না, পর্যটকরা নিজেই। সতর্কবার্তা কাজ করার পাশাপাশি অনেকের মনেই অহেতুক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চিন্তা করতে বারণ করছে রাজ্য  , কারণ এবার গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক বেশিই সতর্ক রাজ্য সরকার। আইএমডি-র ডিজি  বলেছেন, 'সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়। অর্থাৎ মার্চ এপ্রিল মে। আরেকটা বর্ষার পর অর্থাৎ অক্টোবার, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে মাসে এবং নভেম্বরের মধ্য়ে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা গোটা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত নজর রাখছি।' তবে এবার প্রশ্ন হচ্ছে, বৃষ্টি শেষে কি ফের দাবদাহ শুরু হবে বাংলায়।

 আরও পড়ুন, মৃত্যুর আগে শেষ কার সঙ্গে কথা বলেছিলেন অর্জুন ? মোবাইলের পাসওয়ার্ড খুঁজছে লালবাজার