সংক্ষিপ্ত
ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। থাকার। আসুন জেনে নিই ডেঙ্গির জটিলতা প্রতিরোধে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে
ডেঙ্গু বা ডেঙ্গি একটি মারাত্মক রোগ যা মশার কামড়ে হয়, এটি মারাত্মকও হতে পারে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে বাংলায় সর্বত্র ডেঙ্গির সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গি প্রতিরোধে সকলকে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। থাকার। আসুন জেনে নিই ডেঙ্গির জটিলতা প্রতিরোধে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে?
ডেঙ্গির কারণে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা-
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গির সংক্রমণ হলে মারাত্মক ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যার কারণে রক্তক্ষরণজনিত রোগের আশঙ্কাও থাকে। অনেক লোকের মধ্যে, ডেঙ্গি থেকে স্বাস্থ্যগত জটিলতা, যেমন ক্লান্তি, জয়েন্টে ব্যথা এবং দুর্বলতা, সেরে ওঠার পরেও দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে। এটি সাধারণত সংক্রমণের সময় শরীরে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির কারণে ঘটে। আসুন জেনে নিই কিভাবে ডেঙ্গি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করা যায় এবং এর দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা এড়ানো যায়?
জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথার সমস্যা
ডেঙ্গি জ্বরের সময় পেশী, জয়েন্ট এবং হাড়ের ব্যথা সাধারণ। এ কারণে একে 'ব্রেকবোন ফিভার'ও বলা হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গি জ্বর সেরে যাওয়ার পরও অনেকের জয়েন্ট ও পেশির ব্যথার সমস্যা থেকে যেতে পারে। ডেঙ্গি থেকে পুনরুদ্ধারের পরে, পলিআর্থ্রালজিয়া (জয়েন্টে ব্যথা) এবং মায়ালজিয়া (পেশী ব্যথা) দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ক্ষুধা হ্রাস এবং ওজন হ্রাস-
বমি বমি ভাব এবং ক্ষুধা হ্রাস ডেঙ্গির একটি সাধারণ সমস্যা, এই লক্ষণগুলি রোগ নিরাময়ের পরেও অব্যাহত থাকতে পারে। ক্ষুধা না লাগার কারণে শরীরে পুষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়াকে বেশ সাধারণ বলে মনে করা হয়। ডেঙ্গি থেকে সেরে ওঠার পর শরীরে খনিজ ও ভিটামিনের অভাবের কারণে আপনি ক্লান্ত এবং অত্যন্ত দুর্বল বোধ করতে পারেন। এই কারণে ডেঙ্গি থেকে সেরে ওঠার পর আপনার ওজন কমতে পারে।
কী বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গি হওয়ার সময় এবং সুস্থ হওয়ার পর শরীরের পুষ্টির দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। আপনার ডায়েটে আরও তাজা ফল, শাকসবজি এবং প্রোটিন আইটেম রয়েছে তা নিশ্চিত করুন। পনির, কিডনি বিন, ছোলা, স্যুপ, দই, দুধ, সয়া, বাদাম, শুকনো ফল নিরামিষাশীদের জন্য প্রোটিনের ভালো উৎস। প্রোটিন ছাড়াও, শরীরে আরও অনেক ধরণের পুষ্টির প্রয়োজন, যা খাবারের মাধ্যমে পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।