শিশুদের দুধে এই খাবার মেশালেই বাচ্চা থাকবে চিরকাল এনার্জিটিক! জেনে নিন
শিশুদের দুধে এই খাবার মেশালেই বাচ্চা থাকবে চিরকাল এনার্জিটিক! জেনে নিন
- FB
- TW
- Linkdin
শিশুদের সুস্থ থাকার জন্য এবং তাদের হাড় মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম শিশুদের শুধুমাত্র দুধ থেকেই পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন বাবা-মা তাদের সন্তানদের খাদ্যতালিকায় দুধ অন্তর্ভুক্ত করতে চান। তবে, শিশুদের শুধুমাত্র সাধারণ দুধ দেওয়া উচিত নয়। বাজারে পাওয়া যায় এমন অস্বাস্থ্যকর জিনিস মেশানোরও প্রয়োজন নেই। আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যকে আরও উন্নত করার জন্য কিছু উপাদান অবশ্যই দুধে মেশানো উচিত। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী…
ছোট শিশুদের সুষম খাদ্য সরবরাহ করা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ, তাদের খাদ্যতালিকায় সমস্ত পুষ্টি উপাদান থাকা উচিত। এর জন্য, শিশুদের কৃত্রিম পুষ্টির পরিবর্তে প্রাকৃতিক পানীয় দেওয়া উচিত। দুধ এর একটি ভাল উদাহরণ।
এটি শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। দুধ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু দুধ পান করার পরিবর্তে, হলদি, তুলসী, বাদামের গুঁড়ো ইত্যাদি মেশানো যেতে পারে। এগুলি মিশিয়ে দিলে শিশুদের কী উপকার হয়, দেখে নেওয়া যাক…
শীত ও বর্ষাকালে শিশুরা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। তাদের রক্ষা করার জন্য, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া উচিত। দুধে কিছু বিশেষ খাবার মিশিয়ে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা যেতে পারে।
হলুদ:
অনেক বাড়িতে দুধে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করা সাধারণ। শিশুদের ক্ষেত্রেও, শুধু দুধ পান করার চেয়ে হলুদ মিশিয়ে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে হলুদ মিশিয়ে শিশুদের কিছু পুষ্টি পাওয়া যায়। হলুদ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর অ্যান্টি-অ্যালার্জি গুণাবলী শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। শৈশবে হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা শিশুদের জন্য হলুদ উপকারী।
আদা:
দুধে আদা মেশালেও ভালো ফল পাওয়া যায়। আদার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আদা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। আদা দিয়ে দুধ ফুটানোর চেয়ে আদা গুঁড়ো মেশালে ভালো স্বাদ পাওয়া যায়। এটি শিশুদের গ্যাস থেকে রক্ষা করে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। আদায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী সর্দি-কাশির চিকিৎসায় খুবই সহায়ক। এটি একটু ঝালযুক্ত, তাই অল্প পরিমাণে শিশুদের দেওয়া উচিত।
তুলসী:
তুলসী পাতা দুধে মিশিয়ে শিশুদের খাওয়ানো যেতে পারে। এতে দুধের গুণমান বৃদ্ধি পায়। তুলসীর ঔষধি গুণাবলী শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তুলসী পাতা দুধে ফুটালে সর্দি, কাশি, জ্বরের সমস্যা কমে। তুলসী দুধ শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমাতে এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
বাদাম গুঁড়ো:
বাদামে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। দুধের সাথে মিশালে স্বাদও বৃদ্ধি পায়। শিশুদের খাওয়ানোর জন্য বাদাম দুধ একটি ভালো বিকল্প। এতে থাকা ভিটামিনগুলি শিশুদের ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বাদাম শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাদের বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে। বাদাম গুঁড়ো বাড়িতেই তৈরি করে দুধে মিশিয়ে শিশুদের দিলে তারা খুশি হয়ে পান করবে। তারাও সুস্থ থাকবে।