সংক্ষিপ্ত
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শতকরা ৮০ শতাংশ মাদকাসক্তের বয়স ১৬ থেকে ৩০। অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদক দ্রব্যের প্রতি আসক্তি বেশি দেখা যায়। এর প্রভাবে সকলের মানসিক ও শারীরিক দু ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সাইকোফার্মাকোলজি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করেছে মাদকাসক্তির প্রথম কারণ হল হতাশা (Frustration)।
অফিসে বসের দেওয়া টার্গে (Target), সংসারে (Family) নানারকম সমস্যা, মাসের শুরুতে ফ্ল্যাটের ইএমআই (EMI), বাচ্চার পড়াশোনা(Education)- সব নিয়ে মনের মধ্যে চলে দুঃশ্চিন্তা। এই সমস্যা অধিকাংশ পরিবারে। নানারকম টেনশনে (Tension) ভুগছেন সকলেই। এর থেকে দেখা দিচ্ছে স্ট্রেস (Stress)। আর এই স্ট্রেসের ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে একের পর এক কঠিন রোগ। হাইপ্রেসার (High Pressure), হার্টের সমস্যা (Heart), ডায়াবেটিসের (Diabetes) মতো রোগের অন্যতম কারণ কিন্তু স্ট্রেস। এই সমস্যা নয় মাঝ বয়সী ব্যক্তিদের। কিন্তু, জানেন কি স্ট্রেস সকল বয়সেই দেখা যাচ্ছে। পরীক্ষায় (Exam) মনের মতো ফল না হওয়া, সময় মতো চাকরি (Job) না পাওয়া, প্রেমে ব্যঘাত- এমন একাধিক সমস্যায় ভুক্তভোগী বর্তমান প্রজন্ম। যা স্ট্রেস (Stress) বা হতাশার (Frustration) অন্যতম কারণ। আর এই হতাশা বা স্ট্রেসের জন্য মাদকের প্রতি আসক্তি বাড়ছে। গবেষণায় (Research) উঠে এল এমনই তথ্য।
বেশ কিছুদিন ধরে খবরে রয়েছেন, আরিয়ান খান (Aryaan Khan)। মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এর আগে সুশান্ত সিং মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে বলিউডের সঙ্গে মাদকের যোগ খুঁজে পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। শুধু সেলেবরা নয়, মাদকের প্রতি আসক্তি বাড়ছে ইয়ং জেনারেশনের (Young Genaration)। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শতকরা ৮০ শতাংশ মাদকাসক্তের বয়স ১৬ থেকে ৩০। অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদক দ্রব্যের প্রতি আসক্তি বেশি দেখা যায়। এর প্রভাবে সকলের মানসিক ও শারীরিক দু ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সাইকোফার্মাকোলজি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করেছে মাদকাসক্তির প্রথম কারণ হল হতাশা (Frustration)। আর একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে বর্তমান প্রজন্ম বেশি আসক্ত হচ্ছে মাদকের প্রতি। সন্তানকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে সন্তানকে। সবার আগে বুঝতে হবে সন্তান মাদকাসক্ত কিনা। বাচ্চা যদি আজকাল একা একা থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তাহলে খেয়াল রাখুন। বাচ্চার বয়স ১৬ থেকে ২০-র মধ্যে হলে বাবা-মাকে সতর্ক (Alert) হতে হবে। এক্ষেত্রে সবার আগে, বাচ্চার খাওয়ার প্রবণতা ও ঘুমের সময়সীনমা পরিবর্তন হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন। দেখুন চোখ লাল হচ্ছে কি না বাচ্চার। অথবা দেখুন বাচ্চার চোখের মণি স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট বা বড় হয়েছে কিনা। কখনও বাচ্চার নাক দিয়ে রক্ত (Bleeding) পড়লে সতর্ক হন। আর অবশ্যই খেয়াল রাখুন বাচ্চার মুখ বা পোশাক থেকে কোনও গন্ধ (Smell) বের হচ্ছে কি না।