বাড়াতে হবে জনসচেতনতা সুস্থ থাকতে খাদ্য তালিকায় বদল

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, বিভিন্ন বিভাগে একদিকে যখন প্রথম সারির তালিকায় মেয়েদের নাম উঠে আসে, তখনই অপরদিকে প্যাডম্যান-এর মতন ছবিরও প্রয়োজন হয়ে পরছে, সরকারে পক্ষ থেকে চলছে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচেষ্টাও। মেয়েদের শিক্ষার আলোকে নিয়ে আসতে, স্বাবলম্বী করতে, কাটিয়ে তুলতে হবে সামাজিক বৈষম্য। কেবলমাত্র শহুরে জীবন যাপনে উন্নয়নে ছোঁয়া নয়, গ্রামীণ মেয়েদের জীবনযাপনেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেকোনও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ পাওয়া মাত্রই প্রতিবছরই তাদের প্রাপ্ত নম্বর প্রতিযোগীর মুখে ফেলে দেয় শহরের পড়ুয়াদের। এই সকল ছাত্রীদের দিকে যদি সময় থাকতে এই দিনগুলিতে আরও একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তবে তাদের সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হয়।

২৮শে মে প্রতি বছরই পালন করা হয় বিশ্ব মেন্সট্রুরাল হাইজিন দিবস। এই দিনে বিভিন্ন জায়গায় জনসচেতনতা গড়ে তোলার একটি ছোট পদক্ষেপও যথেষ্ট। মেয়েদের এই কয়েকটি দিনে শরীরের ২০ থেকে ৮০ এম.এল. রক্ত ক্ষরণ হয়ে থাকে। এই সময় খাদ্য তালিকায় সামান্য বদল ঘটানো উচিৎ, তাহলেই শরীরের অনেকটা ক্লান্তি দুর হয়ে যায়।

এই কয়েকটি দিন খাদ্য তালিকা কোন খাবারগুলো থাকা বাঞ্চনীয়ঃ

  • যে কোনও আরয়ন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ, যেমন সবুজশাকসব্জি, বাদাম, সোয়াবিন, প্রভৃতি।
  • প্রোটিনের অভাব ঘটতে থাকে এই সময়। শরীরকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমানে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম খেতে হবে।
  • ভিটামিন সি যুক্ত ফল দিনে অন্তত পক্ষে একটা খাওয়া উচিৎ, যেমন পেঁপে, পেয়ারা, কমলা লেবু, আঙুর প্রভৃতি।
  • খাদ্য তালিকায় থাকা খাবারে ফাইবারের পরিমাণও যেন যথেষ্ট মাত্রায় থাকে, যেমন তরমুজ, গাজর, খোসা সমেত আলু, আটা রুটি প্রভৃতি।
  • দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এতো ভিটামিন বি-১২ থাকে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। খালি পেতে থাকলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা থেকেও অনেক সময় কষ্ট আরো দ্বিগুণ হয়।

এইকয়েকটাদিনসঠিকপরিচর্যারমধ্যেনাথাকলেশরীরক্রমেইদুর্বলহয়েপড়বে। তাই প্রতি মাসেই এই বিশেষ দিনে নিজের প্রতি খেয়াল রাখা এবং ভবিষ্যৎ গড়ার পথে সুস্থ শরীরে এগিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।