সংক্ষিপ্ত

  • ফের সংবাদ শিরোনামে কর্তারপুর করিডোর
  • জঙ্গি উপস্থিতি নিয়ে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল গোয়েন্দা সংস্থা
  • এবার মিলল দুটি পোস্টার
  • পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায়

বহু বিতর্ক, টানাপোড়েনের পর উদ্বোধন হয় কর্তারপুর করিডোর। কিন্তু উদ্বোধনের পরেও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না এই করিডোরের। দরবার সাহিব গুরুদোয়ারাতে কাশ্মীর ইজ পাকিস্তান, অর্থাৎ কাশ্মীর হল পাকিস্তান, এই পোস্টার দেখামাত্রই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এই করিডোরকে ব্যবহার করে জম্মু-কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এমন আশঙ্কার কথা আগেই প্রকাশ করেছিল গোয়েন্দা সংস্থা। 

পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা, ওয়াঘাতে পাওয়া পোস্টারে লেখা, 'জাতির গর্ব... পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী, কাশ্মীরই পাকিস্তান।' এখানেই শেষ নয়। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, পোস্টার দুটির মধ্যভাগে ভারতের উইং কমান্ডার অভিনব বর্তমানের ছবি দেওয়া রয়েছে। 

জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র হাতানোর অবৈধ চেষ্টায় পাকিস্তান, ফাঁস হল ভয় ধরানো তথ্য

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর অনুযায়ী জানা যায়, খোদ কর্তারপুরেই জঙ্গি শিবির রয়েছে। চলছে সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ। কাজেই শিখ তীর্থযাত্রা কতটা নিরাপদ হবে, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আরও জানা যায়, পাক পঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে, শকরগড় এবং সীমান্তবর্তী নারওয়াল জেলায় জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘাঁটিতেই বেশ কিছু সংখ্যক জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে মহিলা জঙ্গিও রয়েছে বেশ কিছু। 

'যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে ভারত', ভয় পেয়ে মন্তব্য পাক বিদেশমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, ২৪ অক্টোবর ভারত পাকিস্তান কর্তারপুর করিডর চুক্তি স্বাক্ষরিত করে। পাকিস্তানের নারওয়াল জেলায় ভারত-পাক সীমান্তের কর্তারপুর জিরো পয়েন্টে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই দরবার শরিফে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর অতিবাহিত করেছিলেন। শিখদের পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারকে মনে করা হয়।