সংক্ষিপ্ত
ফের সেই গৃহবন্দী জীবন। এতে বাচ্চার (Kids) মনে যে খারাপ প্রভাব পড়ছে, তা সকলেই বুঝতে পারছেন। কিন্তু, আমরা সকলেই পরিস্থিতির শিকার। এই পরিস্থিতিতে বড়দের মানিয়ে নেওয়া যতটা কঠিন, তার থেকে তিনগুণ কঠিন বড়দের মানিয়ে নেওয়া। এই সময় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বাচ্চাদের (Kids) ওপর। মেনে চলতে হবে কয়টি জিনিস।
ফের শুরু হয়েছে লকডাউন (Lockdown)। বন্ধ হয়েছে স্কুল। ক্লাস রুম, স্কুলের মাঠ, বন্ধু সবই যেন ভুতে বসেছে বাচ্চারা। মাঝে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে এগচ্ছিল বলেন অনেকের মনেই আশা ছিল। আশা ছিল সব সুস্থ হওয়ার। কিন্তু, ফের সেই গৃহবন্দী জীবন। এতে বাচ্চার (Kids) মনে যে খারাপ প্রভাব পড়ছে, তা সকলেই বুঝতে পারছেন। কিন্তু, আমরা সকলেই পরিস্থিতির শিকার। এই পরিস্থিতিতে বড়দের মানিয়ে নেওয়া যতটা কঠিন, তার থেকে তিনগুণ কঠিন বড়দের মানিয়ে নেওয়া। এই সময় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বাচ্চাদের (Kids) ওপর। তারা সারাদিন বাড়ি থাকবে, এই কথা মাথায় রেখে চলতে হবে। সঙ্গে মেনে চলতে হবে কয়টি জিনিস। তা না হলে, এর খারাপ প্রভাব পড়বে বাচ্চাপ ওপর।
তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবেন না। সে বাড়ি আছে বলে তার সব বিষয় মাথা গলাবেন, এমন উচিত নয়। বাচ্চাকেও ব্যক্তিগত জীবনে স্পেশ (Space) দিন। তার মনের মতো করে থাকতে দিন। এতে গৃহবন্দী বলে, এর খারাপ প্রভাব পড়ছে মনে। তার ওপর আপনি তার স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করলে সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
তার সামনে দুজনে ঝগড়া করবেন না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু, বাচ্চা বাড়ি আছে বলে, নিজেদের অশান্তি তাদের সামনে আনবেন না। বাচ্চার সামনে একে অন্যকে দোষ (Blame) দেওয়ার অভ্যেস বদল করুন। এতে বাচ্চার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
বাচ্চা বাড়ি আছে বলে, তার সব কাজ করে দিনের। সে সব বিষয়ে আপনার ওপর নির্ভর করে, এমন ঠিক নয়। বাচ্চাকে স্বনির্ভর (Independent) করুন। তাকে নিজেকে নিজের কাজ করতে দিন। তা না হলে বাচ্চা পরে সমস্যায় পড়বে। তাই এই বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
আরও পড়ুন: আপনার ওপরই বাচ্চার ভবিষ্যত নির্ভর করছে, এই কয়টি বিষয় খেয়াল রাখুন
দীর্ঘদিন ধরে ঘরে থাকার জন্য বহু বাচ্চা সোশ্যাল অ্যাংজাইটিতে (Social Anxiety) ভুগছে। এবিষয়ে সতর্ক হন। বাচ্চা যদি অন্য কারও সামনে যেতে ভয় পায়, সব ব্যাপারে লজ্জা পায়, সারাক্ষণ এক থাকতেই স্বচ্ছন্দ্য বোধ করে তাহলে সতর্ক হন। এগুলো সোশ্যাল অ্যাংজাইটির প্রাথমিক লক্ষণ। বাড়ি থাকলেও ভিডিও কলে বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে শেখান, ফোনে আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলান, সুযোগ পেতে করোনার বিধি-নিষেধ মেনে মাঠে ঘুরতে নিয়ে যান বাচ্চাকে। দেখবেন তার এমন সমস্যা দূর হবে।