সংক্ষিপ্ত
মা-বাবা কিছু বললেই অশান্তি শুরু। কথায় কথায় মিথ্যা (Lying) বলছে। কিছু বললে এড়িয়ে (Avoid) যাচ্ছে। সারাদিন সে মোবাইল নিয়ে বসে থাকে। বন্ধু (Friends), চ্যাট (Chat) আর আড্ডাই এখন তার জীবন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেনে নিন কীভাবে বাচ্চাকে সামলাবেন।
সদ্য ১৪-তে পা দিল বুবাই। বড় হয়েছে। আজকাল কারও সঙ্গে তেমন কথা বলে না। তার আচরণের মধ্যে অদ্ভুত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। পড়াশোনায় আর আগের মতো নেই। রেজাল্ট (Result) খুবই খারাপ হচ্ছে। সারাক্ষণ বন্ধুদের (Friends) সঙ্গে ঘুরছে। মা-বাবা কিছু বললেই অশান্তি শুরু। কথায় কথায় মিথ্যা (Lying) বলছে। কিছু বললে এড়িয়ে (Avoid) যাচ্ছে। সারাদিন সে মোবাইল নিয়ে বসে থাকে। বন্ধু (Friends), চ্যাট (Chat) আর আড্ডাই এখন তার জীবন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুযোগ পেলেই নানা বাহানা করে বন্ধুর বাড়ি চলে যায়। এর সঙ্গে বেড়েছে জেদ। অনেক বাচ্চার (Kids) মধ্যেই এমন পরিবর্তন দেখা যায়। এক্ষেত্রে বকলে বা মারলে বাচ্চার জেদ আরও বেড়ে যায়। জেনে নিন কীভাবে বাচ্চাকে সামলাবেন।
বাচ্চার মধ্যে জেদি বেশি দেখা গেলে সতর্ক হন। তাকে কোনও বিষয় আদেশ (Order) করবেন না। সবার আগে বাচ্চার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। কেন তার এমন পরিবর্তন হল দেখুন। যতটুকু সময় সঙ্গে থাকেন, সেই সময় কৌশল করে ওর মনের কথা জানতে শিখুন। জানুন কাদের সঙ্গে মিশছে। তারা কেমন ছেলে খবর নিন। এছাড়া, শরীরিক সমস্যার জন্য এমন হতে পারে। সেক্ষেত্রে সে অ্যাংজাইটিতে ভুগছে কিনা দেখুন।
সন্তানকে (Children) তার আবেগ প্রকাশ করার জায়গা দিন। সব সময় ইতিবাচক আচরণ রাখুন তার দিকে। তাকে সঠিক সঙ্গ দিন। হয়তো আপনি তাকে ঠিক মতো সময় দিচ্ছেন না বসে সে এমন মেজাজ দেখাচ্ছে। বাচ্চার (Kids) ভুল কিছু করছে দেখে বকবেন না। কৌশল করে বোঝান। সঠিক সময় বুঝে তার ভুল নিয়ে আলোচনা করবেন। তা না হলে সে আরও মিথ্যা বলবে, আরও জিনিস গোপন করবে।
আরও পড়ুন: Parenting Tips: বাচ্চা সারাক্ষণ ইন্টারনেট ঘাঁটছে, সতর্ক করতে এই কয়টি জিনিস বাচ্চাকে বোঝান
বাচ্চার অনুভূতি (Feelings) ও আবেগকে (Emotions) বোঝার চেষ্টা করুন। বাচ্চাকে সারাক্ষণ শাসন করবেন না। এতে সে আরও জেদি হবে। তাকে তাঁর জীবনের সীমারেখা বোঝান। বেশি বন্ধুপ্রীতি কী ক্ষতি করতে পারে তা বলুন। দেখবেন ধীরে ধীরে সব সমস্যা সমাধান হবে।
বাচ্চার সঙ্গে সিনেমা দেখতে যান। তাকে নিয়ে ঘুরতে যান। তাকে সবক্ষেত্রে মানসিক ভাবে সমর্থন (Mental Support)করুন। মনে রাখবেন, বাচ্চার এই বয়সটা খুবই চিন্তার। অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে এই বয়সে খারাপ পথে চালিত হয়। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকুন।