সংক্ষিপ্ত
আদিকাণ্ডে উল্লিখিত হয়েছে, বিশ্বকর্মা দুটি ধনুক নির্মাণ করেছিলেন। তিনি তার মধ্যে একটি ত্রিপুরাসুর বধের জন্য শিবকে এবং অপরটি বিষ্ণুকে প্রদান করেন।
Vishwakarma Puja 2023: ঋগ্বেদ অনুযায়ী, তিনি পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা। তাকে সময়ের সূত্রপাতের প্রাক্-অবস্থা থেকে অস্তিত্বমান স্থপতি তথা ব্রহ্মাণ্ডের দিব্য স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রামায়ণে একাধিকবার বিশ্বকর্মার উল্লেখ পাওয়া যায়। আদিকাণ্ডে উল্লিখিত হয়েছে, বিশ্বকর্মা দুটি ধনুক নির্মাণ করেছিলেন। তিনি তার মধ্যে একটি ত্রিপুরাসুর বধের জন্য শিবকে এবং অপরটি বিষ্ণুকে প্রদান করেন।
এই বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে দুর্গা পুজোর একটা সংযোগ আছে। আসলে বিশ্বকর্মা পুজোর শেষ মানেই মা আসার সময় গোনা শুরু। বেদ অনুসারে এই বিশ্বকর্মাকে আবার কৃষিকর্মের দেবতা হিসেবেও মনে করা হয় কারণ তিনিই ধরণী শস্যশ্যামলা করে মাকে আগমণ জানান মর্তে। বলা ভালো দেবী দুর্গা আগমণের আগেই তিনি পৃথিবীকে সাজিয়ে তোলেন।
আবার এই বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে এমন কিছু বিষয় জরিয়ে আছে যা এই পুজোর অঙ্গই নয়। যেমন অরন্ধণ। ভাদ্র মাসের শেষ অর্থাৎ সংক্রান্তির দিন অরন্ধণ পালন করা হয় এই উৎসবই সংক্রান্তির দিন ছাড়া অন্য যে কোনও দিনে পালন করলে তাকে ইচ্ছা রন্ধণ বলা হয়। এই ব্রততে রান্না করা হয় না। বাসী খাবার খাওয়া হয় এবং দেবী মনসা-কে উৎসর্গ করা হয়। এর সঙ্গে সরাসরি বিশ্বকর্মা পুজোর কোনও সম্পর্ক না থাকলে ও একই দিন হিসেবে জুড়ে গিয়েছে।