সংক্ষিপ্ত

প্রতি মাসে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা আসে। হিন্দু ধর্মে অমাবস্যার গুরুত্ব অপরিসীম। অমাবস্যা তিথিতে কিছু কাজ করা উচিত নয় বলে শাস্ত্রে বলা হয়েছে। শুধুমাত্র রীতিনীতি অনুযায়ী নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেও অমাবস্যায় কিছু কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। 
 

প্রতি মাসে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা আসে। হিন্দু ধর্মে অমাবস্যার গুরুত্ব অপরিসীম। অমাবস্যা তিথিতে কিছু কাজ করা উচিত নয় বলে শাস্ত্রে বলা হয়েছে। শুধুমাত্র রীতিনীতি অনুযায়ী নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেও অমাবস্যায় কিছু কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

কি কি কাজ এড়িয়ে চলবেন.. 

ভ্রমণ.. 

অমাবস্যায় যথাসম্ভব ভ্রমণ করা উচিত নয় বলে বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন। এই দিনে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বেশি থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়। এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে অমাবস্যার রাতে ভ্রমণ স্থগিত রাখাই উত্তম। 

নতুন জিনিসপত্র কেনা.. 

অমাবস্যায় নতুন পোশাক কেনা, নতুন গাড়ি কেনা উচিত নয় বলে বলা হয়। এটি নেতিবাচক শক্তির প্রতীক বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, কোনও নতুন কাজ অমাবস্যায় শুরু করা উচিত নয়। 

চুল কাটা, শেভ করা.. 

অমাবস্যায় কোনওভাবেই চুল কাটা, শেভ করা উচিত নয় বলে পণ্ডিতরা বলেন। এই দিনে নখ কাটাও নিষিদ্ধ। 

শুভকাজ.. 

অমাবস্যায় কোনও শুভকাজ করা হয় না, এটা আমরা সবাই জানি। বিবাহ থেকে শুরু করে ছোটখাটো শুভকাজও অমাবস্যায় করা হয় না। এমনকি, এই দিনে নির্মাণকাজও শুরু করা হয় না। 

মাথায় তেল দেওয়া.. 

অমাবস্যায় মাথায় তেল দেওয়া উচিত নয় বলে বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন। এছাড়াও, অমাবস্যায় খোলা চুল রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে রাতে বাইরে বের হলে চুল বাঁধা উচিত। 

খরচ.. 

অমাবস্যায় যথাসম্ভব খরচ কমানো উচিত। অযথা খরচ করলে আর্থিক সমস্যায় পড়তে পারেন। 

মাংস খাওয়া.. 

অমাবস্যায় মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। শাস্ত্রেও এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। যথাসম্ভব শাকসবজি খাওয়া উচিত। 

স্বামী-স্ত্রী.. 

অমাবস্যায় স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক মিলন উচিত নয় বলে শাস্ত্রে বলা হয়েছে। অমাবস্যায় নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বেশি থাকে। তাই এই সময়ে সৃষ্টি কার্যে অংশগ্রহণ করলে সন্তান সমস্যার পাশাপাশি দাম্পত্য কলহ হতে পারে। 

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ.. 

উপরোক্ত বিষয়গুলি কেবলমাত্র বিশ্বাস বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবেও এর পিছনে কারণ রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বিজ্ঞান উভয়ই বলে যে চাঁদ মানুষের মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। চাঁদ যখন পুরোপুরি দেখা যায় না, তখন মানুষের মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই অমাবস্যায় কিছু কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অমাবস্যায় পিতৃপুরুষদের তর্পণ করা শুভ বলে হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে।