সংক্ষিপ্ত

  • বুমরার হটট্রিক দেখে হরভজন ফিরে গেলেন ইডেনের সেই বিকেলে
  • বুমরার হ্যাটট্রিকের সঙ্গে তাঁর হ্যাটট্রিকের মিল পাচ্ছেন ভাজ্জি 
  • নতুন সদস্যকে হ্যাটট্রিক ক্লাবে স্বাগত জানালেন ইরফান
  • সেদিন যা চেয়েছি তাই পেয়েছি, স্মৃতিচারণা ইরফানের

বুমরার হ্যাটট্রিক দেখে নিজের হ্যাটট্রিক মনে পরে গেল হরভজন সিংয়ের। শনিবার মাঝরাতে  বুমরার যখন পরপর তিন ক্যারেবিয়ান ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে তৃতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে টেস্ট হ্যাটট্রিক করলেন, তখন লাইভ ম্যাচ দেখা হয়নি ভাজ্জির। সকালে খবরটা পেয়ে বুমরার হ্যাটট্রিক ক্লিপ দেখেন হরভজন। আর সকাল সকাল সেই ছবি দেখে ভাজ্জির মনে পরে গেল ১৮ বছর আগের ইডেনের এক বিকেলের কথা। যখন তাঁর হাত ধরে সৌরভের টিম ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়ার বিজয় রথ থামাতে শুরু করেছে।

তিনি স্পিনার, আর বুমরা ফাস্ট বোলার, তবুও তাঁর ও বুমরার হ্যাটট্রিকের মধ্যে মিল খুঁজে পাচ্ছেন হরভজন। কারণ দুজনই শেষ উইকেট পেয়েছেন টিভি আম্পায়ারের মদতে। নিজের সোনালী দিনের স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে হরভজনের মনে পরে যাচ্ছিল সেই বিকেলের কথা। পরপর দুই বলে পন্টিং ও গিলক্রিস্টের উইকেট নিয়ে তখন হরভজন ইতিহাসের সামনে। কারণ তার আগে কোনও ভারতীয বোলারের টেস্ট হ্যাটট্রিক ছিল না। কি করবেন, অধিনায়াক দাদার কাছে যেতেই মহারাজ ভাজ্জিকে বলেছিলেন, বাড়তি কিছু করার প্রয়োজন নেই। স্টিক টু বেসিকস। ভজ্জির সামনে সেদিন ছিলেন ওয়ার্ন। বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনারকে প্যাভেলিয়নে ফেরাতে পাজ্জাবের তরুণ স্পিনারের ভরসা ছিল ইয়র্কার। আশা ছিল ওয়ার্ন লেগ বিফর উইকেট হবেন। কিন্তু অজি স্পিনার ফিল্ক করেছিলেন। আর ফরওয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে চকিতে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন ভারতীয় ওপেনার সদগোপন রমেশ। ফিল্ড আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ারের কাছে জানতে চান বল মাটিতে পরেছিল কি না? টিভি আম্পায়ার জানিয়ে দেন ক্লিন ক্যাচ। ইতিহাসে নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেন তরুণ হরভজন। একই সঙ্গে ভারতীয় দলও যেন পেয়ে যায় স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়ার ওপর চেপ বসার রাস্তাটা। সেই দিনের স্মৃতি ফিরে আসতেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল হরভজন সিংয়ের মুখ। বুমরাও শেষ উইকেট পেয়েছেন টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে।  

বুমরার হ্যাটট্রিক দেখে নিজের টেস্ট হ্যাটট্রিক মনে পরে যাচ্ছে ইরফান পাঠানেরও। ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করাচিতে টেস্ট হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাঠান। পাঠান প্যাভেলিয়ানের পথ দেখিয়ে দিয়েছিলেন সলমন বট, ইউনিস খান ও মহম্মদ ইউসুফের উইকেট। তরুণ ইরফানের সুইং দেখে সেদিন চমকে উঠেছিল ক্রিকেচ বিশ্ব। বুমরাকে ভারতীয় বোলারদের হ্যাটট্রিক ক্লাবের স্বাগত জানাচ্ছেন বরোদার বোলার। 

ক্যারেবিয়ান সফরে বুমরার হ্যাটট্রিক আবার মনে করিয়ে দিল দুই ভারতীয় বোলার সোনালী স্মৃতি। হবে নাই বা কেন? ২০০৬ সালে করা ইরফানের হ্যাটট্রিকের পর যে প্রায় ১৩ বছর অপেক্ষা করত হল আরও একটা টেস্ট হ্যাটট্রিক পেতে।