সংক্ষিপ্ত

রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলে সমিত দ্রাবিড়ের মতোই বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ছেলে আর্যবীর সেহওয়াগ। এই দুই কিশোর ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ হয়ে উঠতে পারে।

ছেলে আর্যবীর সেহওয়াগের জন্য একইসঙ্গে গর্বিত এবং কিছুটা আফশোস করছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। শিলংয়ে কোচবিহার ট্রফির ম্যাচে দিল্লির হয়ে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে ৩০৯ বলে ২৯৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে আউট হয়ে গেল আর্যবীর। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার-বাউন্ডারি। টেস্ট, ওডিআই, টি-২০ ফর্ম্যাটে সেহওয়াগ ঠিক যে ভঙ্গিতে ব্যাটিং করতেন, একইভাবে ব্যাটিং করছে আর্যবীর। তার অসাধারণ ব্যাটিং ক্রিকেট মহলের নজর কেড়ে নিয়েছে। এই কিশোর ভবিষ্যতে আরও ভালো পারফরম্যান্স দেখাবে বলে আশায় ক্রিকেট মহল। সেহওয়াগের মতোই আর্যবীরও ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়ে খেলবে বলে আশায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।

মজার ছলে আর্যবীরের প্রশংসায় সেহওয়াগ

ঠিক যেভাবে বেপরোয়া ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের আনন্দ দিতেন, একইভাবে মজার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমেও অনুরাগীদের আনন্দ দেন সেহওয়াগ। ছেলের অসাধারণ ইনিংস সম্পর্কে 'এক্স' হ্যান্ডলে এই প্রাক্তন ক্রিকেটার লিখেছেন, ‘ভালো খেলেছো আর্যবীর সেহওয়াগ। ২৩ রানের জন্য ফেরারি পেলে না। কিন্তু ভালো খেলেছো। তোমার মধ্যে এই আগুন জ্বালিয়ে রাখো। তুমি আরও অনেক বড় শতরান, দ্বিশতরান, ত্রিশতরান করতে পারবে। খেলে যাও।’

 

 

ফেরারি হারানোর কথা কেন বললেন সেহওয়াগ?

২০০৪ সালে পাকিস্তান সফরে মুলতান টেস্ট ম্যাচে ৩০৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন সেহওয়াগ। তিনিই ভারতের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ত্রিশতরান করেন। এর ৪ বছর পর চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে ৩১৯ রান করে নিজের নজিরই ছাপিয়ে যান সেহওয়াগ। তিনি আশা করেছিলেন, আর্যবীর ৩২০ রান করে তাঁকে ছাপিয়ে যাবেন। এই নজির গড়তে পারলে আর্যবীরকে ফেরারি উপহার দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন সেহওয়াগ। কিন্তু তা হল না।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

বাবার মতোই তৈরি হচ্ছে, কোচবিহার ট্রফিতে অপরাজিত দ্বিশতরান বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ছেলের

অস্ট্রেলিয়ায় কত দামে বিক্রি হচ্ছে বিরাট কোহলির ব্যাট? লজ্জা পাবে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সও

অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলে যোগ দিচ্ছেন মহম্মদ শামি? বড় ইঙ্গিত জসপ্রীত বুমরার