সংক্ষিপ্ত

এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার হিসেবে দেখা হচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে কুইন্টন ডি কক, ডেভিড মিলারদের দল মোটেই দুর্বল নয়।

এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন টেম্বা বাভুমা। তিনি দলের সঙ্গে ভারতে আসেন। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরে গিয়েছেন বাভুমা। ফলে তিনি প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে পারছেন না। শুক্রবার প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ২ অক্টোবর তিরুঅনন্তপুরমে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে প্রোটিয়ারা। এই ২টি ম্যাচে নেতৃত্বে থাকছেন এইডেন মার্করাম। ৭ অক্টোবর দিল্লিতে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার আগে হয়তো ভারতে ফিরবেন বাভুমা। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক যদি পারিবারিক সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত দলে যোগ দিতে না পারেন, তাহলে সমস্যায় পড়বে দল।

চোটের জন্য ওডিআই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নেই পেসার অ্যানরিখ নর্তিয়ে ও সিসান্দা মাগালা। বিশ্বকাপ চলাকালীন তাঁদের চোট সারার আশা নেই। সেই কারণেই তাঁদের দলে রাখেনি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। নর্তিয়ে কোমরে চোট পেয়েছেন। মাগালার বাঁ হাঁটুতে চোট রয়েছে। সেই কারণেই এই ২ পেসারের পক্ষে বিশ্বকাপে খেলা সম্ভব হচ্ছে না। বাভুমাও পুরোপুরি চোটমুক্ত নন। কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ওডিআই ম্যাচে ১১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন বাভুমা। সেই ম্যাচেই তিনি হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান। যদিও সেই চোট সারিয়ে পরের ২ ম্যাচে খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। কিন্তু তিনি এরপর উরুতে চোট পান। ফলে সাবধানতাবশত চতুর্থ ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। সিরিজের শেষ ম্যাচে দলে ফিরে ২ বল খেলে ০ রানেই আউট হয়ে যান বাভুমা। তাঁর অনুপস্থিতিতে শুক্রবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ব্যাটিং ওপেন করতে পারেন রিজা হেনড্রিকস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে 'চোকার্স' হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর ১৯৯২ থেকে ওডিআই বিশ্বকাপ খেলছে প্রোটিয়ারা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একবারও তারা ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি। একাধিকবার সেমি-ফাইনালে হেরে গিয়েছে। ভারতে এর আগে ১৯৯৬ ও ২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ফল ভালো হয়নি। এবার ডি কক, ডেভিড মিলার, হেইনরিক ক্লাসেন, কেশব মহারাজ, এইডেন মার্করাম, লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদার মতো ক্রিকেটাররা লড়াই করতে তৈরি। দক্ষিণ আফ্রিকার বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই ভারতের মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাঁরা বিশ্বকাপে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে চাইছেন।

আরও পড়ুন-

Cricket Australia: শেষমুহূর্তে অ্যাশটন আগরের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়া দলে মার্নাস লাবুশেন

Ravichandran Ashwin: অক্ষর প্যাটেলের পরিবর্তে বিশ্বকাপের দলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন

Muttiah Muralitharan 800 : মুথাইয়া মুরলীধরনের বায়োপিকের প্রচারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়