সংক্ষিপ্ত

ফর্মে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। ওডিআই ফর্ম্যাটে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন এই তারকা ব্যাটার। ওডিআই বিশ্বকাপের বছরে তাঁর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় শিবির।

গত ৪ ওডিআই ম্যাচে ৩ শতরান। ফের ভারতীয় দলের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছেন বিরাট কোহলি। তিনি পুরনো ফর্মে ফেরায় টিম ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি ক্রিকেটপ্রেমীরাও উচ্ছ্বসিত। তবে বিরাট নিজে তাঁর সাফল্যের জন্য দলের থ্রোডাউন স্পেশালিস্টদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন। সতীর্থ শুবমান গিলের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বিরাট বলেছেন, ‘আমাদের দলের তিনজন থ্রোডাউন স্পেশালিস্টই প্রতিবার খেলার সময় বিশ্বকাপের অনুশীলন করান। আমরা যখন নেটে অনুশীলন করি, তখন থ্রোডাউন স্পেশালিস্টরা প্রতি ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বা ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করা বোলারদের মতো আমাদের চ্যালেঞ্জ জানান। তাঁরা আমাদের আউট করার চেষ্টা চালিয়ে যান। সবসময় তাঁরা আমাদের পরীক্ষার মুখে ফেলে দেন। এর ফলে আমাদের খেলার উন্নতি হয়েছে। এর ফলে আমার কেরিয়ারে বদল এসেছে। আমি এই ধরনের অনুশীলন শুরু করার আগে ক্রিকেটার হিসেবে যে জায়গায় ছিলাম, এখন তার চেয়ে অনেক ভালো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি। এর অনেকটাই কৃতিত্ব থ্রোডাউন স্পেশালিস্টদের। তাঁরা নিয়মিত আমাদের অনুশীলন করান। তাঁদের অবদান অবিশ্বাস্য। তাঁদের নাম ও মুখ মনে রাখতে হবে। কারণ, আমাদের সাফল্যের পিছনে তাঁদের অনেক পরিশ্রম রয়েছে।’

শুবমানও থ্রোডাউন স্পেশালিস্টদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দলের তিনজন থ্রোডাউন স্পেশালিস্ট হয়তো ১,২০০ থেকে ১,৫০০ উইকেট পেতে পারতেন। তাঁরা ম্যাচের আগে আমাদের সবরকমভাবে তৈরি করে দেন।’

ভারতীয় দলের তিনজন থ্রোডাউন স্পেশালিস্ট ডি রাঘবেন্দ্র, দয়ানন্দ গরানি ও নুয়ান সেনেবীরত্নে। উত্তর কর্ণাটকের কুমটা অঞ্চলের বাসিন্দা রাঘবেন্দ্র ২৪-২৫ বছর আগে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ছেড়ে মুম্বইয়ে পাড়ি জমান। কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে তিনি যে সাফল্য আশা করেছিলেন সেটা না পেয়ে বেঙ্গালুরুতে ফিরে যান। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কোচ ও খেলোয়াড়দের সাহায্য করা শুরু করেন রাঘবেন্দ্র। তিনি সবসময় ব্যাটারদের থ্রোডাউন দেন। ক্রিকেটাররা তাঁকে বিশেষ পছন্দ করেন। সচিন তেন্ডুলতকর, মহেন্দ্র সিং ধোনি অনুশীলন করার সময় প্রিয় রঘুকে ডেকে নিতেন। বিরাটও জানিয়েছেন তাঁর ব্যাটিংয়ে রঘুর বিশেষ প্রভাব রয়েছে।

২০২০ সালে রঘু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া সফরে জাতীয় দলে যোগ দেন দয়ানন্দ। তিনি একসময় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। খেলোয়াড় জীবনে মিডিয়াম পেসার ছিলেন দয়ানন্দ। পরে তিনি থ্রোডাউন কোর্স করেন। অন্ধ্র প্রদেশের রঞ্জি দল, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের সঙ্গে কাজ করার পর জাতীয় দলে সুযোগ পান পূর্ব মেদিনীপুরের ছেলে দয়ানন্দ।

পাকিস্তানের বাঁ হাতি পেসার মহম্মদ আমির ও জুনেইদ খানকে সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি হতে ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার থ্রোডাউন স্পেশালিস্ট সেনেবীরত্নেকে দলে নেয় ভারত। তিনি এখনও ভারতীয় দলের সঙ্গে আছেন।

আরও পড়ুন-

আউটস্যুইংয়ে জোর দিয়েই সাফল্য, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অসাধারণ সাফল্যের পর জানালেন সিরাজ

শ্রীলঙ্কাকে ৩১৭ রানে হারিয়ে তৃতীয় ওডিআই ম্যাচ জয় ভারতের 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ শতরান করতে পারেন বিরাট কোহলি, আশাবাদী সুনীল গাভাসকর