সংক্ষিপ্ত
ভারতে প্যারা গেমসের গুরুত্ব বাড়ছে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্যও পাচ্ছেন ভারতীয়রা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে প্যারা গেমসে যোগ দিচ্ছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা।
ছোটবেলাতেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ২টি হাত খোয়ান। তা সত্ত্বেও প্যারা ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার যুবক আমির হুসেন লোন। তিনিই এখন জম্মু-কাশ্মীর প্যারা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। হাত না থাকা সত্ত্বেও ব্যাটিং ও বোলিং করেন আমির। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে খেলার পথে বাধা হয়ে উঠতে দেননি এই ক্রিকেটার। তিনি অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। সাফল্যের চেয়েও আমিরের মানসিক জোর ও সাহস নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলে। প্যারা ক্রিকেটে জম্মু-কাশ্মীরের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের উৎসাহ দিচ্ছেন আমির। তিনি চান, সবাই শারীরিক সমস্যা জয় করে জীবনে সফল হয়ে উঠুন।
আমিরকে দমাতে পারেনি দুর্ঘটনা
অনন্তনাগ জেলার বিজবেহারা অঞ্চলের ওয়াগহামা গ্রামের বাসিন্দা আমির। এখন তাঁর বয়স ৩৪ বছর। ৮ বছর বয়সে দুর্ঘটনার শিকার হন এই যুবক। তাঁর বাবার কারখানায় দুর্ঘটনায় দুই হাত হারান তিনি। এরপর সাময়িক সমস্যায় পড়লেও, দমে যাননি আমির। তিনি মানসিক জোর হারাননি। ২০১৩ সালে তাঁর মধ্যে ক্রিকেটের প্রতিভা দেখে এক শিক্ষক প্যারা ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে উৎসাহ দেন। এরপর থেকেই প্যারা ক্রিকেট খেলা শুরু করেন আমির। তিনি গলা ও কাঁধের সাহায্যে ব্যাট ধরেন এবং পা দিয়ে বোলিং করেন। এভাবেই খেলতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন আমির। তাঁর আর কোনও সমস্যা হয় না।
সাহায্যের আবেদন প্যারা ক্রিকেটারদের
দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের মতোই প্যারা ক্রিকেটাররাও বিসিসিআই-এর কাছ থেকে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন। বিসিসিআই যদি প্যারা ক্রিকেটের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে খেলার আরও উন্নতি হতে পারে। প্যারা ক্রিকেটে অর্থ ও প্রচারের অভাব রয়েছে। প্যারা ক্রিকেটারদের আরও সুযোগ-সুবিধা দরকার। উন্নত সুযোগ-সুবিধা পেলে তাঁরা উন্নতি করতে পারবেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Ranji Trophy: কাইফ-সূরজের দাপটে ৬০ অলআউট উত্তরপ্রদেশ, ভুবনেশ্বরের ৫ উইকেটে পাল্টা চাপে বাংলা
David Teeger: ইজরায়েলকে সমর্থন, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ককে সরিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা