সংক্ষিপ্ত
রবিবার ১৯৮৩ সালে কপিল দেব নিখাঞ্জের নেতৃত্ব ভারতীয় দলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৪০ বছর পূর্ণ হল। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই জয়।
১৯৮৩ সালে ভারতীয় দল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন না হলে হয়তো সচিন তেন্ডুলকরতে পেত না ক্রিকেট দুনিয়া। ছোটবেলা থেকেই টেনিসের ভক্ত ছিলেন সচিন। তাঁর হাতে সবসময় থাকত টেনিস র্যাকেট। তখনও মাস্টার ব্লাস্টারের হাতে ওঠেনি ক্রিকেট ব্যাট। কিন্তু ১৯৮৩ সালের ২৫ জুন সচিনের জীবন বদলে দেয়। কপিল দেবের হাতে বিশ্বকাপ ওঠার পরেই সচিনের হাতে ওঠে ক্রিকেট ব্যাট। আমূল বদলে যায় ভারতীয় ক্রিকেট। দ্বিতীয়বার ওডিআই বিশ্বকাপ জেতার জন্য অবশ্য ভারতীয় দলকে অপেক্ষা করতে হয় ২৮ বছর। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতীয় দল। তার আগে ২০০৭ সালে ধোনির নেতৃত্বেই প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেই দলে না থাকলেও, ২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সচিন।
রবিবার ট্যুইট করে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন সচিন। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতীয় দলের প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের ৪০ বছর হয়ে গেল! ১৯৮৩ সালের ২৫ জুন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত যা ভারতীয় ক্রিকেটকে বদলে দেয়। আমার জীবনকেও বরাবরের জন্য বদলে দেয়। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের সব সদস্যকে শ্রদ্ধা জানাই।’
১৯৮৩ সালে সচিনের বয়স ছিল ১০ বছর। কপিলদের বিশ্বকাপ জয় তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে। পেশাদার ক্রিকেটার হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সচিন। এই স্বপ্নপূরণ করার জন্য তাঁকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেট পেয়ে যায় কপিলদের যোগ্য উত্তরসূরিকে।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। অ্যান্ডি রবার্টস, জোয়েল গার্নার, ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং, ল্যারি গোমসের বোলিং সামলে ভারতীয় দল ১৮৩ রান করে। সর্বাধিক ৩৮ রান করেন ওপেনার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। ২৭ রান করেন সন্দীপ পাতিল। ২৬ রান করেন মহিন্দর অমরনাথ। ১৫ রান করেন অধিনায়ক কপিল দেব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৩ উইকেট নেন রবার্টস। ২ উইকেট করে নেন মার্শাল, হোল্ডিং ও গোমস।
১৮৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বাধিক ৩৩ রান করেন ভিভ রিচার্ডস। ২৫ রান করেন জেফ দুজোঁ। ১৮ রান করেন মার্শাল। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট করে নেন মহিন্দর অমরনাথ ও মদন লাল। ২ উইকেট নেন বলবিন্দর সান্ধু। ১ উইকেট করে নেন কপিল ও রজার বিনি।
আরও পড়ুন-
প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৪ দশক পূর্তি, ফিরে দেখা কপিল দেব-মহিন্দর অমরনাথদের অবিস্মরণীয় কীর্তি
আগস্টে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে জাতীয় দলে ফেরার চেষ্টা করছেন জসপ্রীত বুমরা
Ravindra Jadeja: ক্রিকেট থেকে বিরতি, ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছেন রবীন্দ্র জাদেজা