সংক্ষিপ্ত

ইউরোর (Euro Cup 2024) শুরুতেই যেন সেই চেনা ছন্দে পাওয়া গেল জার্মানিকে। আর এই জয়ের পিছনে জার্মান হেডস্যারের কথা যেন না বললেই নয়।

ইউরোর (Euro Cup 2024) শুরুতেই যেন সেই চেনা ছন্দে পাওয়া গেল জার্মানিকে। আর এই জয়ের পিছনে জার্মান হেডস্যারের কথা যেন না বললেই নয়।

বলা যেতে পারে, বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে একজন সফল তরুণ কোচ। যার বয়স মাত্র ৩৬ বছর। জুলিয়ান নাগেলসম্যান (Julian Nagelsmann)। দলকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে ভালোবাসেন। আর ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের (Scotland) বিরুদ্ধে ৪-২-৩-১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন।

খেলার শুরুতে স্কটল্যান্ডের যে মনোভাব দেখা গেছিল, আসতে আসতে তা হারিয়ে যায় ম্যাচ থেকে। যতই সময় এগোয়, ততই যেন ম্যাচের দখল নেয় জার্মানি (Germany)। আর এইসবকিছুর পিছনে অবশ্যই একজনের ট্যাকটিসের কথা তো বলতেই হয়। তিনি জার্মান হেডস্যার জুলিয়ান নাগেলসম্যান।

জার্মানরা বরাবরই অ্যাট্যাকিং ফুটবল খেলতে ভালোবাসে। তার প্রমাণ যেন আবারও পাওয়া গেল। ম্যাচের ১০ মিনিটেই, ফ্লোরিয়ান উইর্টজের (Florian Wirtz) গোল। কিন্তু তারপরেও ডিফেন্সিভ স্ট্র্যাটেজিতে যাননি কোচ। বরং স্কটল্যান্ডের ওপর আরও চাপ বাড়ায় জার্মানি। তার ফলাফলও মেলে হাতেনাতে। খেলার ১৯ মিনিটে ফের গোল জার্মানির। মুসিয়ালার (Jamal Musiala) গোলে ২-০ ব্যবধানে লিড নেয় জার্মানরা।

গোটা ম্যাচে জার্মান কোচ নাগেলসম্যান চালিয়ে গেলেন তাঁর ম্যাচ রিডিং। সেইসঙ্গে, চোট থেকে ফিরে আসার পর ম্যানুয়েল নয়্যারকে (Manuel Neuer) নিয়ে আসেন প্রথম একাদশে। প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু সাহসী নাগেলসম্যান যে ভুল করেননি, তা প্রথম ম্যাচেই পরিষ্কার। সেইরকম কঠিন পরীক্ষার সামনে না পড়তে হলেও, বেশ ভালো খেলেন নয়্যার। এক্ষেত্রেও জার্মান কোচের দূরদর্শিতার প্রশংসা করতে হয়।

অন্যদিকে, খেলার ৬৩ মিনিটে, দুটি পরিবর্তন করেন তিনি। কাই হ্যাভার্টজ (Kal Havertz) এবং উইর্টজকে তুলে নিয়ে নামান নিকলাস ফুলকার্গকে (Niclas Füllkrug)। সবথেকে বড় বিষয়, হ্যাভার্টজ ফার্স্ট হাফ শেষের একটু আগেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান ৩-০। যার ফলে, প্রথমার্ধে ৩-০ ফলাফল নিয়ে জার্মানরা বিরতিতে যায়। তাঁকেও কোচ তুলে নেন, সেইসঙ্গে আরও একজন গোলস্কোরার উইর্টজও চলে যান মাঠের বাইরে।

আসলে মাঝমাঠে লোক বাড়িয়ে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডের জায়গায় আরও জোর দিতে চাইছিলেন কোচ নাগেলসম্যান। আর তাঁর ক্ষুরধার পরিকল্পনার ফসল মেলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই। মাঠে নেমেই দুরন্ত গোলে জার্মানিকে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন সেই ফুলকার্গ। নিঃসন্দেহে আবারও কোচের পরিকল্পনার প্রশংসা করতেই হয়।

তবে রুডিগারের আত্মঘাতী গোলটি না হলে, ক্লিনশিট রেখেই এই ম্যাচ শেষ করত জার্মানি। কিন্তু তারপরে দাঁড়িয়েও, গোটা ম্যাচ জুড়ে যে ফুটবল জার্মানি উপহার দিয়েছে, তার জন্য কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যানের প্রশংসা করতেই হয়। ম্যাচ শেষের কয়েক মুহূর্ত আগে এমরে ক্যানের গোল যেন সেই সওয়ালকেই জোরদার করে দিয়ে গেল। প্রথম ম্যাচেই জার্মানির জয় ৫-০ ব্যবধানে।

আরও পড়ুনঃ 

ইউরোর লড়াই জমজমাট, কোন দল রয়েছে কোন গ্রুপে? একঝলকে দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ সূচি

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।