সংক্ষিপ্ত
সৌদি আরবের পর জাপান, কাতারে চলতি বিশ্বকাপে ফের চমক এশিয়ার দলের। জার্মানির বিরুদ্ধে অসাধারণ লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিল জাপান।
আর্জেন্টিনার পর জার্মানি। কাতার বিশ্বকাপে ফের এশিয়ার দলের কাছে ধরাশায়ী হল বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম শক্তিধর একটি দল। বুধবার জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল জাপান। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও যেভাবে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা, জাপানের বিরুদ্ধে জার্মানিও একইভাবে হেরে গেল। ৩৩ মিনিটে ইলকে গুন্ডোগানের পেনাল্টি গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও, কোনও সময়ই হতোদ্যম হয়ে পড়েননি জাপানের ফুটবলাররা। টমাস মুলারদের আক্রমণ সামলে পাল্টা আক্রমণ করে যাচ্ছিল জাপান। তার ফলেই দ্বিতীয়ার্ধে এল জোড়া গোল। জার্মানির ফুটবলাররা গোল শোধ করার জন্যে অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের পক্ষে আর সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি। জাপানের ফুটবলাররা সবাই মিলে অসামান্য লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিলেন। জাপানের ফুটবলের ইতিহাসে এই জয় অন্যতম সেরা। এই জয়ের ফলে কঠিন গ্রুপ থেকেও নক-আউটে যাওয়ার আশা জাগিয়ে তুলল জাপান। জার্মানির বিরুদ্ধে জয় পরের ম্যাচগুলিতে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
এদিনের ম্যাচে হেরে গেলেও, জার্মানি কিন্তু অসাধারণ ফুটবল খেলল। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন দলের মতোই লাগছিল মুলার, গানবারি, ম্যানুয়েল ন্যুয়েরদের। কিন্তু জাপানের ফুটবলাররাও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেন। তাঁরা হিসেব করে খেললেন। জার্মানির মতো সারাক্ষণ আক্রমণ করেনি জাপান। বেশিরভাগ সময়ই গুটিয়েছিল তারা। সুযোগ বুঝে কাউন্টার অ্যাটাকে জার্মানির রক্ষণে চাপ তৈরি করাই জাপানের কৌশল ছিল। সেই কৌশল পুরোপুরি সফল হল।
এদিনের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময় পর্যন্তও বোঝা যায়নি জাপান এভাবে জয় ছিনিয়ে নেবে। দাইচি কামাদারা কাউন্টার অ্যাটাক করছিলেন বটে, কিন্তু অ্যান্টনিও রুডিগার, ন্যুয়েররা সেই আক্রমণ ভালভাবেই সামাল দিচ্ছিলেন। উল্টোদিকে, জাপানের গোলকিপার শুইচি গোন্ডাও অসাধারণ ফুটবল খেললেন। তিনি একাধিকবার নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন। না হলে এই ম্যাচ জিতে ফিরতে পারত না জাপান। দ্বিতীয়ার্ধে দু'টি পরিবর্তন ম্যাচের রং বদলে দেয়। আও তানাকার বদলে ৭১ মিনিটে মাঠে নামেন রিৎসু দোয়ান। তিনি ৭৫ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। তাার আগে ৫৭ মিনিটে দাইজেন মেইদার বদলে মাঠে নামেন তাকুমা আসানো। ৮৩ মিনিটে আসানোই জয়সূচক গোল করেন।
জার্মানি বরাবরই গতি ও শক্তিনির্ভর ফুটবল খেলে। হাই লাইন ডিফেন্স, বিপক্ষের বক্সের বাইরে পাস খেলা, চকিত আক্রমণে গোল তুলে নেওয়াই জার্মানির সাফল্যের মূল কারণ। কিন্তু জাপানের বিরুদ্ধে এই কৌশল খাটল না। উল্টে জার্মানির রক্ষণকে পাল্টা চাপে ফেলে দিল জাপান। এই জয়কে কুর্ণিশ জানাতেই হবে।
আরও পড়ুন-
এখনও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা আছে, আশাবাদী পাবলো জাবালেতা
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই মরক্কোর কাছে আটকে গেল গতবারের রানার্স ক্রোয়েশিয়া
অতিরিক্ত আত্মতুষ্টিই আর্জেন্টিনার হারের কারন, ছন্দে ফিরতে পারবে মেসি বাহিনী!