সংক্ষিপ্ত

ফের দাবায় নজির গড়লেন আর প্রজ্ঞানন্দ ( R Praggnanandhaa)। ৪ মাসের ব্যবধানে ফের একবার ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লসেনকে (Magnus Carlsen) হারালেন ভারতীয় ক্ষুদে গ্র্যান্ডমাস্টার।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে দাবায় ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বের এক নম্বর দাবারুকে হারিয়ে দেশ তথা গোটা বিশ্বকে অবাক করেছিলেন গ্র্যান্ড মাস্টার আর প্রজ্ঞানন্দ । এয়ারথিংস মাস্টার্স নামের একটি অনলাইন দাবার প্রতিযোগিতায় কার্লসেনকে হারিয়েছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ, ক্রিকেট ঈশ্বর কিংদন্তী সচিন তেন্ডুলকর সকলেই প্রশংসা করেছিলেন প্রজ্ঞানন্দের। কিন্তু চার মাসের মধ্যে একই ঘটনার ফের পুনরাবৃত্তি করবেন ক্ষুদে প্রজ্ঞানন্দ তেমনটা হয়তো ভাবেননি কেউই। ফের কার্লসেনকে হারিয়ে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিলেন প্রজ্ঞানন্দ। শুক্রবার অনলাইন র‌্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা চেজেবল মাস্টার্সের পঞ্চম রাউন্ডে কার্লসেনকে হারিয়ে দেন।

গত ফেব্রুয়ারিতেই কার্লসেনকে হারিয়েছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। শুক্রবার ফের একই কাজ করে দেখালেন। কার্লসেনের একটি ভুলের সুযোগ নিয়ে ম্য়াচ নিজের পকেটে পুড়ে নেন ভারতের ক্ষুদে গ্র্যান্ডমাস্টার। কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন কার্লসেন। ৪০তম চালে তিনি একটি বড় ভুল করেন। সেই ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিস্তিমাত করে দেয় প্রজ্ঞানন্দ। এই মুহূর্তে ১২ পয়েন্ট রয়েছে তার দখলে। হেরে গিয়েও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কার্লসেন। তাঁর নকআউটে ওঠা কার্যত পাকা। এই প্রতিযোগিতায় খেলছে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার অভিমন্যু মিশ্রও। নরওয়ের তারকা দাবাড়ুকে হারিয়ে নক আউটে পৌঁছনোর দৌড়ে রইলেন প্রজ্ঞানন্দ। ৪ মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার কার্লসেন হারানোর পর ফের একবার প্রজ্ঞানন্দের প্রশংসায় প্রাক্তন থেকে বর্তমান চেজ মাস্টাররা। 

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১০ অগস্ট চেন্নাইয়ে জন্ম নেওয়া প্রজ্ঞা ছোট থেকেই বাড়িতে দাবার পরিবেশ পেয়েছে। তার দিদি বৈশালী রমেশবাবুও এক জন নামকরা দাবাড়ু। ৬ বছর বয়সে দাবা শিখতে শুরু করেন। ২০১৩ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-৮ ওয়ার্ল্ড ইউথ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে প্রজ্ঞা। সেখানে জেতার পরে ফাইড মাস্টারের খেতাব অর্জন করে সে। তার পরে ২০১৬ সালে মাত্র ১২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন বয়সে ভারতের দ্বিতীয় ও বিশ্বের পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হয় প্রজ্ঞানন্দ। অভিমন্যু মিশ্র, গুকেশ ডি, সের্গে কার্জাকিন ও জাভোখির সিন্দারতের পরে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। দেশের প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দকে নিজের আদর্শ মনে করেন তিনি। ভবিষ্যতে তার মত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য ছোট্ট প্রজ্ঞানন্দের।