সংক্ষিপ্ত
ইতিহাস তৈরি করল ভারতীয় ব্য়াডমিন্টন দল (Indian badminton team)। থমাস কাপে (Thomas cup 2022) ইতিহাসে প্রথমবার সোনা জিতল ভারত। শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন ভারতীয় দল। ভারতীয় দলের জয়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)।
৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার থমাস কাপ জিতে ছেলেদের ব্যাডমিন্টনে ইতিহাস রচনা করেছে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দল। ফাইনালে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে স্বপ্নপূরণ করে ভারত। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন লক্ষ্য সেন, কিদম্বি শ্রীকান্ত, চিরাগ শেট্টি এবং সাত্ত্বিক সাইরাজরা। এই জয়ের পর উচ্ছ্বসিত জাতীয় প্রধান কোচ ও ব্য়াডমিন্টন অ্য়াসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সহ-সভাপতি পুল্লেলা গোপীচাঁদ বলেছিলেন, এই জয় ভারতের ১৯৮৩-র প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের সমান। এবার ভারতীয় দলকে এককই সম্মানে নিজেদের আসনে বসালেন ১৯৮৩ বিশ্বজাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ও কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাসকর।
ভারতীয় ব্য়াডমিন্টন দলের জয়ে খুব খুশি সুনীল গাভাসকর। তিনি বলেছেন,'আমার মনে হয় ভারতীয় ব্য়াডমিন্টনের জন্য দারুণ দিন। এটা ব্যাডমিন্টনের ১৯৮৩-র মুহূর্ত। কেউ ভাবেনি আমরা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতব। তবে আমি বলব না যে, ভারতে কেউ ভাবেনি যে, টিম ইন্ডিয়া থমাস কাপ জিততে পারবে না। কারণ বিগত দুই বছরে ভারত ব্য়াডমিন্টনে দারুণ উন্নতি করেছে। ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ফাইনাল বলেই একটু সন্দেহ ছিল। আমি সত্যিই দারুণ খুশি হয়েছি। দুর্দান্ত খেলেছে ছেলেরা।' ব্য়াডমিন্টন তার খুব প্রিয় খেলা বলেও জানিয়েছেন সানি। তিনি বলেন,'আামার মনে হয় ব্যাডমিন্টন অত্যন্ত কষ্টসাধ্য় খেলা। স্ট্যামিনা, পূর্বানুমান থেকে রিফ্লেক্স, সব কিছুরই প্রয়োজন আছে। আমি স্লিপ ক্য়াচিংয়ের রিফ্লেক্স বাড়ানোর জন্য অল্পসল্প ব্য়াডমিন্টন খেলেছি। আমি ব্যাডমিন্টন খুব ভালবাসি। টি-২০ ম্যাচ ও ব্যাডমিন্টন দেখতে বললে, আমি ব্যাডমিন্টনই বেছে নেব।'
প্রসঙ্গত, এর আগে থমাস কাপ জয়কে ১৯৮৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে তুলনা করে পুল্লেলা গোপীচাঁদ বলেছিলেন, 'এই জয় সত্যিই বিশাল এবং জাদুকরী। এটি ১৯৮৩ সালে ভারতের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের মতো বা তার চেয়েও বড়। ব্যাডমিন্টন এবং থমাস কাপে ইন্দোনেশিয়ার বিশাল খ্যাতি ও ঐতিহ্য রয়েছে। তাদের পরাজিত করে আমরা বিশ্বমঞ্চে অন্য উচ্চাতায় পৌঁছে গিয়েছি'। মেগা ফাইনালে প্রথম ম্য়াচ টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী অ্যান্টনি জিন্টিংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামেন লক্ষ্য সেন। প্রথম গেম ৮-২১ ব্যবধানে হারলেও পরের দুই গেম ২১-১৭ ও ২১-১৬ ব্যবধানে জেতেন লক্ষ্য সেন। দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল ডাবলসে চিরাগ শেট্টি এবং সাত্ত্বিক সাইরাজ মুখোমুখি হয়েছিলেন মহম্মদ এহসান এবং সুকামুলিয়োর। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত জেতে ১৮-২১, ২৩-২১, ২১-১৯ ফলে। তৃতীয় ম্যাচে জোনাথন ক্রিস্টির বিরুদ্ধে নামেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত। ২১-১৫ ব্যবধানে প্রথম গেমে প্রতিপক্ষকে হেলায় হারিয়ে দেন তিনি। ২২ -২১ ফলে দ্বিতীয় গেম জেতেন শ্রীকান্ত ও ভারতের সোনা জয় নিশ্চিৎ করেন।
আরও পড়ুনঃথমাস কাপ জয় ১৯৮৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে জয়ের সমান, গর্বের দিবে আবেগে ভাসলেন পুলেল্লা গোপীচাঁদ