সংক্ষিপ্ত

টোকিও অলিম্পিকে নয়জনের দল পাঠিয়ে পদক এসেছে মাত্র ১টি। কেন প্রত্যাশিত ফল এল না, কী বলছেন ভারতীয় বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতি অজয় সিং?
 

টোকিও অলিম্পিকে নয়জনের দল পাঠিয়েছিল ভারতীয় বক্সার ফেডারেশন - পাঁচজন পুরুষ এবং চারজন মহিলা। অভূতপূর্ব ব্যর্থতায় েদের মধ্যে েকমাত্র লাভলিনা বোরগহাইন সেমিফাইনালে উঠে পদক প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। ৫জন পুরুষ বক্সার অলিম্পিকে মাত্র একটি জয় পেয়েছেন। সুপার হেভিওয়েট বিভাগে কোয়ার্টারফাইনালে উঠেছিলেন সতীশ কুমার। ৫২ কেজি বিভাগে বিশ্বের ১ নম্বর বক্সার হয়েও টোকিওয় প্রথম রাউন্ডেই হেরেছেন অমিত পোঙ্গল-ও।  তারপরও ভারতীয় বক্সারদের পক্ষেই দাড়ালেন ফেডারেশনের সভাপতি অজয় সিং। তাঁর মতে কোভিড জনিত লকডাউনের জন্যই এই অবস্থা হয়েছে, অলিম্পিক নির্ধারিত সময়ে হলে অনেকগুলি পদক জিতত ভারতী বক্সাররা। 

টোকিও থেকে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক টেলিফোনিক সাক্ষাতকারে অজয় সিং বলেছেন, নিশ্চিতভাবেই এই ফল প্রত্যাশিত ছিল না। তবে বিকাশ কৃষ্ণন এবং অমিত পোঙ্গলের পরাজয়ের জন্য তিনি বিশেষভাবে দুঃখিত বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রি-কোয়ার্টারফাইনালে মেরি কম-ও যে সবচেয়ে কম মার্জিনে পরাজিত হয়েছেন সেই দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। তার উপর নয় বছর পর বক্সিং থেকে অলিম্পিকে পদক পেয়েছে ভারত। তাই তাঁর দাবি এইবারের বক্সিং দলকে ব্যর্থ বলা যাবে না, তাঁর মতে ফলাফল মিশ্র। 

২০১৬ রিও অলিম্পিকে ভারত কোনো পদক জিততে পারেনি। সেবার দেশের মহিলা বক্সারদের কেউ যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেননি। মাত্র তিনজন পুরুষ বক্সার মূলপর্বে উঠেছিলেন। সেই তুলনায়, টোকিওতে বক্সাররা মূলপর্বে ওঠার বিষয়ে বড় উন্নতি করেছে। কিন্তু, কেন কেউ মূলপর্বে সেভাবে পারফর্ম করতে পারলেন না, তার কাঁটাছেড়া অলিম্পিক শেষ হওয়ার পর করা হবে বলে জানিয়েছেন আজয় সিং। তবে দারুণ কিছু পরিবর্তনের দরকার বলে মনে করছেন না তিনি। কারণ, গত চার বছরে এই বক্সার এবং কোচিং স্টাফরাই অতুলনীয় সাফল্য এনে দিয়েছেন। একটি প্রতিযোগিতার ফলে তা সব ভুলে যাওয়ার পক্ষপাতি নন তিনি। 

তিনি আরও বলেছেন, এই দলটিই যদি গত বছর টোকিও অলিম্পিকের নির্ধারিত সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত, তাহলে ফলাফল অনেক ভাল হত। লকডাউনের কারণে ছন্দ হারিয়েছিলেন বক্সাররা। এমনটাই তাঁর দাবি। দেশের কোভিড বিধির জন্য বক্সাররা প্রয়োজনীয় লড়াইযের সুযোগ পায়নি। তাই তাদের বিদেশে পাঠাতে হয়েছিল। কোভিড মবহামারি সব দেশেই থাকলেও মারাত্মক দ্বিতীয় তরঙ্গের কারণে ভারতকে বেশি ভুগতে হয়েছে।  বক্সার এবং কোচরাও করোনা ইতিবাচক সনাক্ত হয়েছেন। তাই সমালোচনা করার আগে এই বিষয়গুলি মাতায় বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএফআই-এর সভাপতি। 

তিনি আরও বলেছেন, ভারতীয়দের প্রতিভার অভাব নেই, কিন্তু মানসিকভাবে ভারতীয়দের আরও শক্তিশালী হতে হবে। অলিম্পিক একটি বিশাল মঞ্চ। বক্সিং দলের সঙ্গে পূর্ণ-সময়ের মনোবিজ্ঞানীরা থাকলেও, আরও উন্নতি কীভাবে করা যায়, সেই মূল্যায়নের প্রয়োজন। তিনি আরও বলেছেন, ভারতীয় বক্সিং একটি পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে, কিন্তু, আরও অনেকটা পথ এগোতে।