সংক্ষিপ্ত
টোকিও প্যারাঅলিম্পিকে বিশ্বরেকর্ড করে ১০ মিটার রাইফেল ইভেন্টে সোনা জিতলেন অবনী লেখারা। পুরুষদের ডিস্কাস থ্রোইং-এ রুপো জিতলেন যোগেশ কাঠুনিয়া।
রবিবার জাতীয় ক্রীড়াদিবসের দিন, প্যারাঅলিম্পিকের মঞ্চ থেকে একসঙ্গে তিন-তিনটি পদক জিতেছিল ভারত - দুটি রুপো, একটি ব্রোঞ্জ। বাকি ছিল সোনা। রাত কাটতে না কাটতেই, তাও চলে এল ভারতের ঝুলিতে। সোমবার টোকিও প্যারাঅলিম্পিকে মহিলাদের শুটিং রেঞ্জ থেকে ভারতকে প্রথম স্বর্ণপদকটি এনে দিলেন অবনী লেখারা। মহিলাদের 10 মিটার এয়ার রাইফেল স্ট্যান্ডিং এসএইচ ১ ইভেন্টের ফাইনালে তিনি মোট ২৪৯.৬ স্কোর করেন। আর এর ফলে বিশ্বরেকর্ড না ভাঙতে পারলেও তিনি তা স্পর্শ করলেন। অন্যদিকে অ্যাথলেটিক্স থেকে এদিন আরও একটি রৌপ্যপদক এল ভারতের ঘরে। ফলে টোকিও প্যারালিম্পিক গেমসে এই পর্যন্ত ভারত মোট ছয়টি পদক জিতল।
বস্তুত, যোগ্যতা অর্জন পর্বের তুলনায়, ফাইনাল রাউন্ডে নিজের পারফরম্যান্সকে অন্য স্তরে তুলে নিয়ে য়ান অবনী লেখারা। যোগ্যতা অর্জন পর্বে তিনি মাত্র ৬২১.৭ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্তানে শেষ করেছিলেন। ফাইনালের শুরুটাও তাঁর বিশেষ ভালো হয়নি। তবে সময় যত গড়িয়েছে, ততই নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রচেষ্টায় তিনি স্কোর করেছিলেন যথাক্রমে ১০৪.৯ এবং ১০৪.৮। আর শেষ রাউন্ডে স্কোর করেন, ১০৪.১। যা তাঁকে সোনা এনে দিয়েছে।
"
অন্যদিকে টোকিও প্যারাঅলিম্পিক্সের অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতের ভাল পারফরম্যান্স এদিনও অব্যাহত রয়েছে। ভারতীয় ক্রীড়াবিদ যোগেশ কাঠুনিয়া পুরুষদের ডিস্কাস থ্রোইং (এফ৫৬)-তে রৌপ্য পদক জিতলেন। ৪৪.৩৮ মিটার দূরে ডিস্ক নিক্ষেপ করেন তিনি। ব্রাজিলের ক্লাউডিনি বাতিস্তা ৪৫.৫৯ মিটার ছুঁড়ে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন। আর ৪৩.৩৬ মিটার দূরে ছুঁড়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন, কিউবার লিওনার্দো আলদানা দিয়াজ।
রবিবার, জাতীয় ক্রীড়াদিবসের দিন, টোকিও প্যারাঅলিম্পিক থেকে ভারতকে প্রথম পদক এনে দেন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ভবানী প্যাটেল। রুপো জেতেন তিনি। দিনের পরবর্তী পর্যায়ে অ্যাথলেটিক্স থেকে দুটি পদক পেয়েছিল ভারত। পুরুষদের হাইজাম্পে রুপো জেতেন নিশাদ কুমার এবং পুপরুষদের ডিস্কাস থ্রোইং-এ (এফ৫২) ব্রোঞ্জ পদক জেতেন বিনোদ কুমার।