সংক্ষিপ্ত

মহাকুম্ভ ২০২৫ উপলক্ষে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান, দান-ধ্যান এবং মন্ত্রজপে ধন্য হচ্ছেন ভক্তরা।

প্রয়াগরাজ |  মহাকুম্ভ ২০২৫ শুরু হয়ে গেছে, আর এই অপূর্ব উৎসবের সাথে মকর সংক্রান্তির পবিত্র দিন ভক্তদের জন্য আধ্যাত্মিক উন্নতির সুযোগ নিয়ে এসেছে। মহাকুম্ভে আস্থার ঢল নেমেছে। এবার মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গাস্নান, তিল দান এবং বিশেষ মন্ত্রজপের গুরুত্ব বেড়েছে।

মকর সংক্রান্তি ২০২৫: শুভ মুহূর্ত এবং জ্যোতিষীয় গুরুত্ব

এই বছর মকর সংক্রান্তি ১৪ জানুয়ারি পালিত হবে, এবং এই দিনটি বিশেষভাবে শুভ। জ্যোতিষীরা বলছেন, এই দিন কোনও ভদ্রা থাকবে না, তাই সারাদিন স্নান, দান এবং পূজার জন্য শ্রেষ্ঠ। মহাপুণ্যকাল সকাল ৯:০৩ থেকে ১০:৫০ পর্যন্ত। মকর সংক্রান্তি সূর্যের ধনু থেকে মকর রাশিতে প্রবেশের উৎসব, যার ফলে সূর্য উত্তরায়ণ হন এবং শুভ শক্তির সঞ্চার হয়।

গঙ্গাস্নানের গুরুত্ব

মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর সঙ্গমে স্নান করলে কেবল পাপের নাশই হয় না, পুণ্যও অর্জন হয়। এই সময় জীবনকে শুদ্ধ করার, আত্মাকে শান্তি এবং সৌভাগ্য লাভের। এমন বিশ্বাস আছে যে, এই দিন গঙ্গাস্নান করলে সাত জন্মের কল্যাণ হয়।

দানের গুরুত্ব এবং মন্ত্রজপ

দানকে মকর সংক্রান্তির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে মনে করা হয়। তিল এবং গুড়ের দান পুণ্য বৃদ্ধি করে। শাস্ত্রে একে "তিল সংক্রান্তি"ও বলা হয়। খিচুড়ি, নুন এবং ঘি দানও জীবনকে সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে দেয়।

 

এই মন্ত্র জপ করুন

মকর সংক্রান্তির দিন সূর্যদেবের ১২ নামের জপ করা অত্যন্ত লাভজনক। এই মন্ত্র জীবনে ইতিবাচকতা সঞ্চার করে।

  • "ॐ सूर्याय नमः"
  • "ॐ आदित्याय नमः"

ঘুড়ি উৎসব এবং খাবারের ধুম

মকর সংক্রান্তির উৎসব ঘুড়ি ওড়ানো এবং তিল-গুড়ের খাবার তৈরির জন্যও বিখ্যাত। এই দিন পরিবারের সাথে আনন্দ উৎসব, যেখানে আকাশে রঙিন ঘুড়ি ওড়ে এবং ঘরে ঘরে ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি হয়।

মহাকুম্ভে আস্থার মহাসাগর

মহাকুম্ভ ২০২৫ কেবল ধর্মীয় আস্থার প্রতীক নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির জীবন্ত উদাহরণ। এখানে ভক্তরা গঙ্গার ধারে প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতিতে অংশ নিচ্ছেন, মন্ত্রোচ্চারণের মাঝে আস্থার এই অলৌকিক ছটা সবার মনে উৎসাহ এবং শান্তি সঞ্চার করে। মহাকুম্ভ ২০২৫ এবং মকর সংক্রান্তির এই মিলন কেবল ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না, এটি সামাজিক ঐক্য এবং ভারতীয় সংস্কৃতির সম্মানেরও প্রতীক।