সংক্ষিপ্ত
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৫৭ জন ভারতীয় চাকুরেজীবী মনে করেন ওয়ার্ক ফ্রম হোমে তাঁদের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। আর ৩২ শতাংশ মানুষ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে করতে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বদলেছে অফিসের মানে। এখন বেশিরভাগ অফিসই হচ্ছে বাড়ি থেকে। আর এটাই এখন নিউ নরম্যাল। প্রথম প্রথম বিষয়টি বেশ ভালো লেগেছিল অনেকেরই। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করতে আর ভালো লাগছে না একাধিক ভারতীয়র। মাইক্রোসফ্টের পরিসংখ্যান বলছে, ৫৭ শতাংশ ভারতীয় কর্মীর মতে বাড়ি থেকে তাঁদের অনেক বেশি কাজ করতে হচ্ছে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৫৭ জন ভারতীয় চাকুরেজীবী মনে করেন ওয়ার্ক ফ্রম হোমে তাঁদের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। আর ৩২ শতাংশ মানুষ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে করতে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন।
আরও পড়ুন- সারাদিন ল্যাপটপে কাজ করে চোখে ব্যথা, কাজের ফাঁকে এভাবে যত্ন নিন
৬২ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম হওয়ায় তাঁদের অফিস অনেক বেশি কাজ করতে বলেছে। আর ১৩ শতাংশ কর্মীর মতে, বেশিরভাগ অফিসই তাঁদের কর্মীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয়। সেই কারণেই তারা বেশি কাজ করতে বলে।
তাঁদের দাবি, ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজে বসার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। কিন্তু, কাজ থেকে তাঁরা কখন উঠবেন তার কোনও নির্দিষ্ট সময় থাকে না। দিনের বেশিরভাগ সময়টাই অফিসের কাজ করেত গিয়ে বেরিয়ে যায়। আর তার সঙ্গে রয়েছে বাড়ির কাজও। কারণ অফিসে গিয়ে কাজ করলে সেই সময়টুকু বাড়ির কোনও কাজের দিতে নজর দিতে হত না। কিন্তু, ওয়ার্ক ফ্রম হোমে অফিসের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির কাজও তাঁদের খেয়াল রাখতে হয়। সেই কারণে অনেকেই নির্দিষ্ট সময় কাজ শেষ করে উঠতে পারেন না। ফলে অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করে রীতিমতো বিরক্ত হয়ে পড়েন তাঁরা।
আরও পড়ুন- টানা ১০ ঘন্টা কাজের পরও বাড়িতেও একই কাজ করছেন, জানেন অজান্তেই কীভাবে ক্ষতি করছেন নিজের
তবে এতকিছু সত্ত্বেও চারজনের মধ্যে তিনজন কর্মী ওয়ার্ক ফ্রম করতে চান। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩৫ শতাংশ কর্মীর নিজের পরিবারের সামনে অফিসের কাজ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাঁদের এটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। এমনকী, অফিস বাড়িতে ঢুকে পড়ার ফলে সহকর্মীদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে পারছেন তাঁরা। ফলে অনেক মানুষের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হচ্ছে।