সংক্ষিপ্ত

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব‌্যবধান।

কিন্তু এইরকম হটাৎ করে কীভাবে শুরু হল? কীসের মাধ‌্যমে আর কেনই বা আসছে এইরকম সিগন‌্যাল? সেই উত্তরের সন্ধানে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। আর তাতেই জানা গেছে কিছু তথ‌্য।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, মহাশূন‌্যস্থিত একটি মহাজাগতিক বস্তু বা পদার্থ থেকে আসছে ওই ধরনের রেডিও সিগন‌্যাল। অঙ্ক কষে সেই নির্দিষ্ট সময়ের ব‌্যবধানও বের করা গেছে। প্রতি ২.৯ ঘণ্টার ব‌্যবধানে আসছে সেই সিগন‌্যাল। আর তার উৎস হল GLEAM-X J0704−37। মহাজাগতিক এই বস্তুটির এমনই নামকরণ করা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, এত বেশি সময়ের ব‌্যবধানে এমন একটি বেতারবার্তা মহাশূন‌্য থেকে পৃথিবীর বুকে এর আগে কখনও ভেসে আসতে দেখা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ার একটি লো-ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও টেলিস্কোপ মারচিসম-ওয়াইডফিল্ড অ‌্যারে থেকে পুরনো তথ‌্য খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করেই প্রকাশ্যে এসেছে ওই মহাজাগতিক পদার্থটির অস্তিত্ব।

তবে আরও বিশদে এটির সম্বন্ধে জানতে সাহায‌্য নেওয়া হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মিরক‌্যাট রেডিও টেলিস্কোপের।

আপাতত যা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা অনুযায়ী এই GLEAM-X J0704−37 নামের মহাজাগতিক পদার্থটির অবস্থান আসলে ছায়াপথে। তবে এটি যে কোনও ‘ম‌্যাগনেটর’ বা প্রচণ্ড চৌম্বকীয় শক্তিসম্পন্ন কোনও ধরনের নিউট্রন নক্ষত্র নয়। বরং, বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, এর উদ্ভবের পিছনে কোনও বামন নক্ষত্রও থাকতে পারে।

তবে এই নিয়ে আরও তথ‌্য পেতে হলে বিশদে গবেষণা করা ছাড়া অন‌্য কোনও পথ নেই বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এই উদ্ভাবনের ফলে মহাশূন্যের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মহাজাগতিক নানাবিধ কর্মকাণ্ডের একাধিক সূত্র মিলতে পারে কিংবা পাওয়া যেতে পারে। এমনকি, নানা অজানা তথ্যের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।