সংক্ষিপ্ত
বাইডেনের যুক্তি, গাঁজা রাখার অপরাধের রেকর্ড আমেরিকায় কর্মসংস্থান, আবাসন এবং শিক্ষার সুযোগে অপ্রয়োজনীয় বাধার সৃষ্টি করছে, এর পরিণতি হচ্ছে চারপাশের জাতিগত বৈষম্য। তিনি এও বলেছেন, অনেক প্রাদেশিক সরকার চিকিৎসার স্বার্থে গাঁজাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রেসিডেন্টের বার্তায় স্বস্তি পেলেন গাঁজা রাখার অপরাধে অভিযুক্ত হাজার হাজার আমেরিকান। কারণ, বৃহস্পতিবার জো বাইডেন স্পষ্ট বলে দিয়েছে, ‘‘গাঁজা রাখার জন্য কারওর জেলে যাওয়া উচিত নয়, শাস্তি পাওয়া উচিত নয়।’’ এই উক্তির মাধ্যমে আমেরিকার মিড-টার্ম নির্বাচনের কার্যত গাঁজা রাখার বিষয়টি আইনসিদ্ধ করে দেওয়া পথটি বেশ পরিষ্কার করে দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, তিনি অনেক আগেই এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন যে, ক্ষমতায় এলে তিনি গাঁজাকে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার আইনটি বাতিল করে দেবেন। সেই নিশ্চিতকরণ এবার কাজে করে দেখালেন রাষ্ট্রনেতা। পাশাপাশি এও ঘোষণা করলেন যে, গাঁজা রাখার অপরাধে যাঁরা জেল খাটছেন, তাঁদের সবাইকে ক্ষমা করা হল।
আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে গাঁজা রাখা ও পানের কারণে কম বেশি ৬ হাজার ৫০০ মানুষ এখন শাস্তি পাচ্ছেন। গাঁজার স্বপক্ষে বাইডেনের যুক্তি হল, "এটি অনেক রাজ্যে আইনি এবং গাঁজা রাখার অপরাধের রেকর্ড আমেরিকায় কর্মসংস্থান, আবাসন এবং শিক্ষার সুযোগে অপ্রয়োজনীয় বাধার সৃষ্টি করছে, এর পরিণতি হচ্ছে চারপাশের জাতিগত বৈষম্য। শ্বেতাঙ্গ এবং কৃষ্ণাঙ্গ লোকেরা একই হারে গাঁজা ব্যবহার করেন, কিন্তু শুধুমাত্র কালো এবং বাদামি মানুষদের গ্রেফতার করা হয়, বিচার করা হয় এবং অসম হারে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।” তিনি এও বলেন, “গাঁজা সম্পর্কে আমাদের ভুল পদ্ধতির কারণে অনেক জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। আমাদের এই ভুলগুলো সংশোধন করার সময় এসেছে।”
যদিও বাইডেন যে পুরোপুরি গাঁজার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন, এমনটা নয়। তিনি বলেছেন, ‘‘গাঁজা পাচার, বাণিজ্য ও কম বয়সীদের বিক্রির বিষয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে৷’’ তাঁর বক্তব্য, সরকারি মতে ব্যক্তিগত ভাবে গাঁজা রাখার বিষয়টি আইনবিরুদ্ধ হওয়া উচিত নয়। আমেরিকার ১৮ শতাংশ মানুষের সেটি প্রয়োজন। অনেক প্রাদেশিক সরকার চিকিৎসার স্বার্থে ও নিছক আনন্দের স্বার্থে এগুলি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি আমেরিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যদি গাঁজাকে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর বস্তু হিসাবে তালিকাভুক্ত করা যায়।
জো বাইডেনের এই ঘোষণার ফলে গাঁজা রাখার অপরাধীরা মুক্তি পাবেন। রাষ্ট্রপতি আসলে এই ঘোষণা করে দিয়ে প্রায় প্রতিটি প্রদেশের উপর চাপ তৈরি করলেন, যাতে প্রত্যেকে এই নিয়ম মানতে বাধ্য হয়। তিনি বললেন, আমি প্রতিটি সরকারকে বলছি, এই নিয়ম যেন তাঁরা মেনে চলেন। শুধুমাত্র গাঁজা রাখার অপরাধে যেন কাউকে আর জেলে থাকতে না হয়। কোনও স্থানীয় বা রাজ্য স্তরের জেলেও যেন তাঁদের থাকতে না হয়।
আরও পড়ুন-
অয়নের ত্রিকোণ প্রেম, নাকি প্রীতির সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়া, কোন কারণে তাকে সরিয়ে দিতে চাইল প্রীতির পরিবার?
লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে রয়েছে জেগে থাকার বার্তা? জানুন 'কোজাগরী'-র প্রকৃত অর্থ
বাণিজ্যের সাথে কীভাবে সংযুক্ত হলেন দেবী লক্ষ্মী? জেনে নিন বাংলার সওদাগরদের প্রাচীন কাহিনী