সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার চিনের কথা তুলে ভারতকে রীতিমতো হুমকি দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ন্যাশনাল সেক্রেটারি দলীপ সিং। মস্কোর থেকে ভারতের পণ্য আমদানি বাড়ানো আমেরিকা মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার চিনের কথা তুলে ভারতকে রীতিমতো হুমকি দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ন্যাশনাল সেক্রেটারি দলীপ সিং। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, ভারত মস্কোর কাছ থেকে জ্বালানি-সহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি তো বন্ধ করেইনি, বরং রুশ আমদানি আরও বাড়ানো হচ্ছে। এই অবস্থায়, এদিন মার্কিন ডেপুটি ন্যাশনাল সেক্রেটারি সরাসরি ভারতের নাম না করে বললেন, ভারতে চিনা হামলা হলে তো আর রাশিয়া বাঁচাতে আসবে না। যে দেশগুলি এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানবে না, তাদের এর ফল ভুগতে হবে। 

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তার অভ্যন্তরীণ বৃত্ত এবং রুশ আর্থিক ব্যবস্থার উপর যে সমস্ত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়েছে, তার পিছনে এই দলীপ সিং-এরই হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়। এদিন তিনি সরাসরি বলেছেন, চিন যদি ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি লঙ্ঘন করে, সেই ক্ষেত্রে রাশিয়া ভারতের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে, এমন আশা করা উচিত নয়। কারণ, মস্কো এবং বেজিং-এর অংশীদারিত্বে এখন কোন 'সীমাবদ্ধতা' নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার।

এখানেই থামেননি দলীপ সিং। মার্কিন শীর্ষস্থানীয় কর্তা আরও বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে 'পুতিনের অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধ'-এর জন্য রাশিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি লঙ্ঘন করার চেষ্টা করলে, যে কোনও দেশকেই তার ফল ভুগতে হবে। তাদের কী পরিণতি হবে, সেই বিষয়ে অবশ্য কোনও স্পষ্ট মন্তব্য করেননি মার্কিন কর্তা। তবে, ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেরকম বন্ধুত্বের সম্পর্ক, তাতে এই জাতীয় কোনও 'লাল রেখা'র বাধা নেই বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাই বলে, রাশিয়া থেকে ভারতের আমদানির দ্রুত বেড়ে যাক, তা জ্বালানিই হোক বা অন্য কোনও পণ্য - সেটা আমেরিকা চায় না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। 

বিশ্বের অধিকাংশ দেশ, ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রেক্ষিতে রাশিয়ার উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, ভারত এই দ্বন্দ্বে এক নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন ও ইউরোপিয় নিষেধাজ্ঞা মেনে তারা মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করেনি নয়াদিল্লি। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার করে যুদ্ধ বন্ধের এবং শান্তির পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানোর আর্জি জানানো হয়েছে।  সম্প্রতি বিশেষ ছাড়ের মূল্যে রাশিয়ার কাছ থেকে অশোধিত তেল রপ্তানি করার প্রস্তাবও গ্রহণ করেছে ভারত।