সংক্ষিপ্ত
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন
সেই জন বোল্টনই করলেন চাঞ্চল্যকর দাবি
কিন্তু কেন ভারতের পক্ষে থাকবেন না ট্রাম্প
'সীমান্ত সংঘর্ষের তাৎপর্য তিনি কতটা বোঝেন সেই বিষয়ে নিশ্চিত নই। আমার মনে হয় না ভারত এবং চিনের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা এই সংঘর্ষের ইতিহাস সম্পর্কে যে তিনি কিছু জানেন। তাকে হয়তো সংক্ষেপে বলা হয়েছে, কিন্তু ইতিহাস তিনি মনে রাখতে পারেন না'।
উপরের কথাটা বলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে। আর বলেছেন, তাঁরই একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, প্রাক্তন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প প্রসাসন, বিশেষ করে বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও ভারত-চিন দ্বন্দ্বে খোলাখুলি ভারত-কেই সমর্থন করেছে। এমনকী, ইউরোপ থেকে সেনা প্রত্যাহার কররে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে। তাতে মনে করা হচ্ছিল এই দ্বন্দ্বে মার্কিন সামরিক সাহায্য পাবে ভারত। কিন্তু, সম্প্রতি এক ভারতীয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য়ম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বোল্টন দাবি করেছেন ভারত-চিন যুদ্ধ লাগলে, ট্রাম্পের ভারতকে সমর্থন করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এই প্রাক্তন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দাবি করেছেন, তিনি কেন স্বয়ং ট্রাম্পও সম্ভবত জানেন না, ভারত-চিন যুদ্ধ লাগলে তিনি কাকে সমর্থন করবেন। তবে ভারতের বদলে তাঁর চিনকে সমর্থন করার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করেন বোল্টন। কারণ তাঁর মতে ট্রাম্প বৈদেশিক সম্পর্ককে 'বাণিজ্যিক প্রিজম'এর মাধ্যমে দেখেন। বাণিজ্যিক কারণেই চিন, ভারতের চেয়ে ট্রাম্পেরল কাছে বেশি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন তিনি।
তাঁর মতে ট্রাম্পের বর্তমান অবস্থান পুরোটাই আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য। সেই বাধ্যবাধকতা সরে গেলে ট্রাম্প কী করবেন তা কেউই বলতে পারে না। তবে বোল্টনের মতে ক্ষমতায় ফিরে এলে, ট্রাম্প উইঘুর নিপীড়ন, হংকং-এর উপর দমন - এইসব বিষয়ের জন্য আর বেজিং-এর সমালোচনা করবেন না। বরং চিনের সঙ্গে ফের বড় বড় বাণিজ্য চুক্তি করা শুরু করবেন।
এরপরই বোল্টন জানিয়েছেন, যদি ভারত ও চিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে ভারতের পক্ষেই দাঁড়াবেন, তা নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না। বোল্টন জানিয়েছেন, এখন তিনি চিনকে ধমক ধামক দিচ্ছেন, কারণ আগামী চার মাসের মধ্যে আর কোনও সমস্যা তিনি চাইছেন না। এমনিতেই এইবারের নির্বাচন তার জন্য বেশ কঠিন। তাই তিনি চান সীমান্তে সবকিছু চুপচাপ থাকুক। তাতে চিনের লাভ হল না ভারতের লাভ হল, তাতে তার কিছু যায় আসে না। বোল্টনের মতে ট্রাম্প মনে করেন, 'কোনও সংবাদ তৈরি না হওয়া মানেই সেটা সুসংবাদ'।