চেন টেনে নদীর উপরে রেলগাড়ি থামাল যাত্রী, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের তলায় ঢুকলেন চালক
৬ মে দক্ষিণ রেল তাদের ফেসবুক পেজে এই ভিডিওটি পোস্ট করে। ক্যাপশনে তারা লিখেছে যে ১১০৫৯ নম্বর গোদান এক্সপ্রেস আচমকাই সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুম্বই ডিভিশনের তিতওয়ালা এবং খাদাভলি ট্রেশনের মাঝে নদী ব্রিজের উপর থমকে যায়। কেউ একজন ট্রেনের অ্যালার্ম চেন টেনে দিয়েছিল।
ট্রেনে থাকা অ্যালার্ম চেন-এর সুইচে নদীর উপরে থমকে গেল ট্রেন। আর সেই ভিডিও এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। দক্ষিণ রেলের পক্ষ থেকে এই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে কীভাবে থমকে যাওয়া ট্রেনের নিচে ঢুকছেন চালক। একে নদী। তারউপরে ব্রিজের সঙ্কীর্ণ জায়গা। প্রায় হামাগুড়ি দেওয়ার মতো করে নদীর উপরে ব্রিজে থমকে যাওয়া ট্রেনের নিচে ঢোকেন চালক। মুহূর্তের অসতর্কতা যে কোনও ভাবে ট্রেনের চালক সতীশকুমারকে নিচের নদীতে নিয়ে গিয়ে ফেলে দিতে পারতো। ৬ মে দক্ষিণ রেল তাদের ফেসবুক পেজে এই ভিডিওটি পোস্ট করে। ক্যাপশনে তারা লিখেছে যে ১১০৫৯ নম্বর গোদান এক্সপ্রেস আচমকাই সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুম্বই ডিভিশনের তিতওয়ালা এবং খাদাভলি ট্রেশনের মাঝে নদী ব্রিজের উপর থমকে যায়। কেউ একজন ট্রেনের অ্যালার্ম চেন টেনে দিয়েছিল। এরফলে ওই অ্যালার্ম চেনকে হাতে করে রিসেট করতে হয় চালককে। যার জন্য নদী ব্রিজের উপরেই প্রাণ হাত করে প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে ট্রেনের নিচে প্রবেশ করেছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট সতীশ কুমার। রেলের পক্ষ থেকে তাই এই পোস্টে আবেদনও করা হয়েছে অত্যন্ত জরুরি না থাকলে শখে বা অবিবেবচকের মতো কেউ যেন অ্যালার্ম চেন না টানেন। সতীশকুমারের এই সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। পোস্টের নিচে সতীশের জন্য প্রশংসার বন্যা বয়ে গিয়েছে। আর সেই সঙ্গে যে বা যারা অ্যালার্ম চেন টেনেছিল তাদের আচরণের সমালোচনাও করেছেন নেটিজেনরা।