মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় সংক্রমণ, কীভাবে হবেন সাবধান জানুন

মাঙ্কিপক্স কি- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অনুসারে সংক্রমণ থেকে তৈরি হয় মাঙ্কিপক্স, এটি একটি বিরল রোগ তৈরি করতে পারে, পক্সভিরিডে পরিবারের অন্তর্গত অর্থোপক্সভাইরাসের মধ্যে পড়ে এই ভাইরাস। মাঙ্কিপক্স কি- স্মলপক্স, কাউপক্স, হর্সপক্স, ক্যামেলপক্সের সঙ্গে মিল রয়েছে মাঙ্কিপক্সের, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে জুনেটিক রোগটি প্রাথমিকভাবে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইনফরেস্ট এলাকায় দেখা যায়, মাঝে মাঝে এটি অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। 
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস আক্রমণের লক্ষ্ণণ --জ্বর, ফুসকুড়ি, তীব্র মাথাব্যাথা, পিঠেব্যাথা আর পেশীতে ব্যাথা হয়, দুর্বলতা বেড়ে যায়, ওঠার ক্ষমতা প্রায় থাকে না। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস আক্রমণের লক্ষ্ণণ -- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীদের ত্বকের বড় বড় ফুসকুড়ি বা ফোসকার মত দেখা দেয়, আক্রান্ত হওয়ার প্রথম থেকে তৃতীয় দিনের মধ্যেই প্রবল জ্বর আসে, মুখও ভরে যায় ফুসকুড়িতে। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস আক্রমণের লক্ষ্ণণ -- হাতের তালু আর পায়ের পাতাও ভরে যায় ফুসকুড়ি আর গোটা গোটা ফোসকাতে। সর্দির সমস্যা হয়, যৌনাঙ্গ, কনজোক্টিভা ও কর্নিয়াতে প্রভাব পড়ে এই ভাইরাস, এই ভাইরাস সাধারণত ৬-১৩ দিন থাকে, অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি ২১ দিন পর্যন্ত অসুস্থ থাকে। মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ কীভাবে ছড়ায়-- ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি বলেছে মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাস সংক্রমণ, এটি মানুষের মধ্যে সহজে ছড়ায় না, এই রোগের প্রথম প্রকোপ দেখা দিয়েছিল ১৯৫৮ সালে। মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ কীভাবে ছড়ায়-- সেই সময় গবেষণার জন্য রাখা বানরদের থেকেই পক্সের মত রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছিল, মূলত ব্রিটিশ ও মার্কিন উপনিবেশগুলিতেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল, সেইজন্যই এই রোগের নাম দেওয়া হয়েছিল মাঙ্কিপক্স।