অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে, রহস্যমৃত্যুর তদন্তে পুলিশ

পল্লবীর বাড়ি হাওড়ার রামরাজাতলায়। সেখানে তাঁর বাবা-মা থাকেন। গড়ফায় যে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তা প্রথমে জানানো হয়নি বলে অভিযাগ। পরে বাবা-মা এম আর বাঙুর হাসপাতালে এসে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই পল্লবীর বাবা-মা গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

/ Updated: May 15 2022, 07:17 PM IST

Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল বাংলা টেলি সিরিয়াল জগতের জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী পল্লবী দে-র। রবিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার ফ্ল্যাটে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে লিভ ইন রিলেশনে ছিলেন পল্লবী। পরিবারের অমত থাকলেও পল্লবী নিজের পছন্দের সম্পর্কের জায়গাটা নিজের মতো করেই খুঁজে নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। টেলি সিরিয়ালের জগতে পল্লবীর প্রথম বড়ো কাজ আমি সিরাজের বেগম। এরপর রেশমঝাঁপি ধারাবাহিকেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই মুহূর্তে মন মানে না বলে একটি বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন। পল্লবীর বাড়ি হাওড়ার রামরাজাতলায়। সেখানে তাঁর বাবা-মা থাকেন। গড়ফায় যে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তা প্রথমে জানানো হয়নি বলে অভিযাগ। পরে বাবা-মা এম আর বাঙুর হাসপাতালে এসে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই পল্লবীর বাবা-মা গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এক্ষেত্রে তাঁরা মেয়ের মৃত্যুর জন্য লিভ ইন পার্টনারকেই দায়ী করছেন। পল্লবীর সহকর্মী অভিনেতা সায়কেরও দাবি এর পিছনে কিছু রয়েছে। পল্লবীর চোখ-মুখ যেভাবে বাইরে বেরিয়ে এসেছে তাতে জোর করে গলায় কেউ চেপে না ধরলে এমনটা হতে পারে না। সায়কের মতে পল্লবী যথেষ্ট শক্ত মনের মেয়ে। ও এমনটা করতেই পারে না। লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে পল্লবীর যে বনিবনা হচ্ছিল না এবং প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকছিল সে কথা সায়ক কিছুদিন আগে জানতে পেরেছিলেন। পল্লবীর আড্ডা দিতে দিতে সে কথা বলেছিল বলে দাবি করেছে সায়ক। এমনকী বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য পল্লবীর লিভ-ইন-পার্টনারকেও তিনি মেসেজ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন সায়ক। জানা গিয়েছে, প্রেমিকের কাছে প্রতারিত হন টলি অভিনেত্রী পল্লবী দে। লিভ ইন পার্টনার পল্লবীর আগে একটি মেয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেও তা ভেঙে দিয়েছিল। ছেলেটি যে সুবিধার নয় সে কথা নাকি সেই যুবতী পল্লবীকে জানিয়েছিলেন। কারণ ওই যুবতী আবার পল্লবীর খুব কাছের বান্ধবী ছিলেন। সেই বান্ধবী নাকি জানিয়েছিলেন 'ছেলেটি মোটেই ভাল নয়, ও আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।' পুলিশ আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। জেরা করা হয়েছে পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনারকে। 

Read more Articles on