হাতিদের আবাসস্থলে হবে না এয়ারপোর্ট, সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়খণ্ড সরকার
হাতির আবাস থাকার কারণে ঝাড়খণ্ডে বিমানবন্দরের প্রস্তাবটি ফিরিয়ে নেওয়া হল। হাতি ভারতের জাতীয় ঐতিহ্যের অন্তর্গত, কিন্তু তাদের আবাস উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ধলভূমগড় বিমাবন্দরের জন্য ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল থেকে ১০০ হেক্টর জমি চাওয়া হয়েছিল, এই জঙ্গলই হাতিদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রতিবেশি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের করিডর হিসাবে কাজ করে।
হাতির আবাস থাকার কারণে ঝাড়খণ্ডে বিমানবন্দরের প্রস্তাবটি ফিরিয়ে নেওয়া হল। হাতি ভারতের জাতীয় ঐতিহ্যের অন্তর্গত, কিন্তু তাদের আবাস উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ধলভূমগড় বিমাবন্দরের জন্য ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল থেকে ১০০ হেক্টর জমি চাওয়া হয়েছিল, এই জঙ্গলই হাতিদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রতিবেশি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের করিডর হিসাবে কাজ করে।
ভারত সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন (এমওইএফএসসিসি) মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞদের প্যানেল প্রকল্পটি স্থগিত করার বিষয়ে মত দয়ে, কারণ এরফলে মানুষের সঙ্গে হাতিদের সংঘাত আরও বৃদ্ধি পেত।
২০১০ সালে হাতিদের জাতীয় ঐতিহ্যবাহী প্রাণী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। বর্তমানে ভারতে মোট হাতির সংখ্যা ২৯,৯৬৪। তবে হাতিদের বাসস্থান ক্রমে কমতে থাকায় জনবসতিতে চলে আসছে তারা, যার ফলে হাতি এবং মানুষ উভয়ই মারা পড়ছে। প্রতিবছর হাতি ও মানুষের সংঘর্ষে ১০০টি হাতি ও ৪০০ বেশি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।
উন্নয়ন যে কোনও দেশের অগ্রগতির লক্ষণ, কিন্তু যখনই পশুদের প্রাকৃতিক আবাস তার মাঝে এসে পড়ে তখন এবিষেয় পুনর্বিবেচন করা দরকার। ঝাড়খণ্ড সরকার ঠিক সেই পথেই এগিয়েছে।
হাতিদের আবাসস্থলে হবে না এয়ারপোর্ট, সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়খণ্ড সরকার