রাজীব হত্যাকারীদের কিনে দিয়েছিলেন ব্যাটারি, ৩১ বছর পর মুক্তি পেল পেরারিভালান

রাজীব গান্ধী হত্যায় অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত এজি পেরারিভালান। ৩১ বছর পর অবশেষে মুক্তি পেল এজি পেরারিভালান। বুধবার পেরারিভালানের মুক্তির জন্য রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রাজীব হত্যায় জড়িত জঙ্গি শ্রীনিবাসনের জন্য় ব্যাটারি কিনেছিলেন। ৯ ভোল্টের একটা ব্য়াটারি কিনে দিয়েছিলেন এজি পেরারিভালান।  
 

/ Updated: May 18 2022, 08:34 PM IST

Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

রাজীব গান্ধী হত্যায় অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত এজি পেরারিভালান। ৩১ বছর পর অবশেষে মুক্তি পেল এজি পেরারিভালান। বুধবার পেরারিভালানের মুক্তির জন্য রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রাজীব হত্যায় জড়িত জঙ্গি শ্রীনিবাসনের জন্য় ব্যাটারি কিনেছিলেন। ৯ ভোল্টের একটা ব্য়াটারি কিনে দিয়েছিলেন এজি পেরারিভালান। সেই সময় পেরারিভালানের বয়স ছিল ১৯ বছর। পেরারিভালানকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমত নিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। সংবিধানের ১৪২ ধারা মেনে সুপ্রিম কোর্টকে তা জানিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে তার বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে রায় ঘোষণা করে। বিচারপতি এল নাগেশ্বরা রাও-এর নেতৃত্বে বিচারপতির দল এই সিদ্ধান্ত । পেরারিভালানের মুক্তির জেরে নলিনী এবং তাঁর স্বামী মুরুগানের মুক্তির রাস্তাও খুলল নলিনী এবং মুরুগানও রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ইতিমধ্যেই রাজীব গান্ধীর পরিবার নলিনীকে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে। রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই পেরারিভালান বলে, 'এটা মানুষের ভালোবাসার ফল'। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনও। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীকে মানব বোমা দিয়ে হত্যা করে এলটিটিই। এই বিস্ফোরণে যে ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়েছিল তা কিনেছিল পেরারিভালান । পেরারিভালান এই ব্যাটারি কিনে বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড শ্রীনিবাসনকে দিয়েছিল। ১৯৯৮ সালে পেরারিভালানকে মৃত্যুদণ্ডের সাজাও দেওয়া হয়েছিল। পরের বছর সুপ্রিম কোর্ট এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট পেরারিভালানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। ২০২২ সালের মার্চে জামিন পেয়েছিল পেরারিভালান, এরপরই সে মুক্তির আবেদন রাখে। যদিও, কেন্দ্রীয় সরকার এই আবেদনের বিরোধিতা করেছিল 
কারণ তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বিষয়টি রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের কাছে পাঠিয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য রাজ্যপাল। কারণ তামিলনাড়ু সরকার রাজীব হত্যায় জেলবন্দি ৭ জনের মুক্তিতে সিলমোহর দিয়েছিল। কিন্তু ফের জানায় এই ক্ষেত্রে বন্দিদের ক্ষমা মঞ্জুর করার অধিকার শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির। সুপ্রিম কোর্ট পাল্টা জানায় এমনটা হলে রাজ্যপাল আইনগত দিক থেকে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে পড়বেন। গোটা ঘটনায় হতাশা ব্যক্ত করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব 
তারা জানিয়েছে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির স্বার্থে রাজীব হত্যার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মুক্তি পেয়ে গেল। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন , 'জঙ্গির একটাই পরিচয় সে জঙ্গি'। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হতাশা ব্যাঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা।