স্মার্ট সিটিজ থেকে একাধিক প্রকল্পে জাপানি বিনিয়োগের মাত্রা বাড়তে পারে, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর
এই মুহূর্তে জাপান সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার সকাল থেকে তিনি জাপানের বাণিজ্যিক মহলের সঙ্গে সাক্ষার করেন। আর আগে অবশ্য মোদী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে মোলাকাত করেন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কোয়াড সদস্য দেশগুলির কৌশলগত অবস্থান নিয়ে আলোচনার জন্য টোকিও গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার সকাল থেকে জাপানে উদ্যোগপতিদের সঙ্গে বৈঠক মোদীর। জাপানের এনইসি কর্পোরেশনের এন্ডোর সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর। স্মার্ট সিটিজে বিনিয়োগ এবং নয়া প্রযুক্তি প্রয়োগের সুযোগ নিয়ে আলোচনা। ইউনিকএলও জেপি-র সিইও ও প্রেসিডেন্ট তাদাসি ইয়ানাই-এর সঙ্গে বৈঠক। ভারতের মানুষের উদ্যোগপতি হওয়ার ঝোঁকের প্রশংসা তাদাসি-র। প্রধানমন্ত্রী মিত্র যোজনায় বিনিয়োগ করতে তাদাসিকে আহ্বান মোদীর। সুজুকি সংস্থার পরিচালন নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সফটব্যাঙ্ক সংস্থার জন্মদাতা মাসায়োশি সোন-এর সঙ্গে বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারতের উন্নতির প্রশংসা করেন মাসায়োশি সোন। টোকিও সফরের মাঝখানে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাপানের পাঁচটি প্রধান সংবাদপত্রের একটি ইয়োমিউরি শিম্বুন-এর জন্য একটি অপ-এড লিখেছেন। এই প্রতিবেদনে ভারত-জাপান সম্পর্ককে তুলে ধরেছেন মোদী। লেখাটি সোমবার, ২৩ মে প্রকাশিত হয়েছে। টুইটারে নিয়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই প্রতিবেদনটি ভাগ করেছেন যা সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি “ভারত ও জাপানের মধ্যে প্রাণবন্ত সম্পর্কের উপর একটি লেখা লিখেছেন। শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা রয়েছে। আমি আমাদের বিশেষ বন্ধুত্বের যাত্রার সন্ধান করছি যা ৭০টি গৌরবময় বছর পূর্ণ করছে।” প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারত-জাপান সম্পর্ককে "বিশেষ, কৌশলগত এবং বিশ্বব্যাপী" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন “সাংস্কৃতিক বন্ধন দুই দেশের মধ্যে বহু শতাব্দী আগের। গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বাধীনতা এবং শাসন-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার ওপর আস্থার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির মিল দুই দেশকে পরস্পরের কাছে এনেছে। এই দুই দেশের সম্পর্কের দৃঢ় বিশ্বাস, আস্থা এবং প্রকৃত অংশীদার হিসাবে ভারত ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ককে অন্তর্নিহিত করে।"