যোগদান সম্পন্ন হতেই সাড়ম্বরে ঘোষণা মমতার, 'জয়প্রকাশ সহ-সভাপতি, আর তন্ময় সাধারণ সম্পাদক'
মমতার উপস্থিতিতেই তৃণমূল কংগ্রেসে জয়প্রকাশ। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তন্ময় ঘোষও । নারী দিবসের অনুষ্ঠানে দুজনের এই যোগদান। জয়প্রকাশ বিজেপি দলে ছিলেন না, বললেন সুকান্ত মজুমদার। জয়প্রকাশকে দল সাসপেন্ড করেছিল- সুকান্ত মজুমদার। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির অন্তদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে । জয়়প্রকাশ-সহ বহু রাজ্য নেতাকে নিস্ক্রিয় করার অভিযোগ। ক্রমশই জয়প্রকাশের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল বিজেপি-র।
আঁচ পাওয়া গিয়েছিল অনেক দিন আগে থেকেই। রাজ্য বিজেপি (State BJP) নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বিবাদ কিছুতেই মিটছিল না। এমনকী, নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেও মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর এবার সেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। মঙ্গলবার জয়প্রকাশ মজুমদার একেবারে তৃণমূলের নজরুল মঞ্চের মিটিংয়ে উপস্থিত হন। সেখানেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। আর এদিন এই মঞ্চে দেখা গিয়েছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকেও (Prashant Kishore)। শুরুটা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। সায়ন্তন বসুকে (Sayantan Basu) সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করেছিল বিজেপি। তখনই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন জয়প্রকাশ। এরপর একাধিকবার তিনি নানাভাবে দলকে বুঝিয়েছেন তাঁর বিরোধিতার কথা। কখনও টুইট করে আবার কখনও রাজ্যপাল ও রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের প্রসঙ্গে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আবার কখনও দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে পিকনিকেও অংশ নিয়েছিলেন। তবে সেটা একবার নয় একাধিকবার। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে দলের একটু একটু করে দূরত্ব বাড়ছিল।