Bangla

২০ ডিগ্রি, ২ বার UPSC পাশ, ভারতের শিক্ষিত ও জ্ঞানী রাজনীতিবিদের গল্প

ভারতে খুব বেশি রাজনীতিবিদ শিক্ষিত নন। কিন্তু এখন আমরা এমন এক রাজনীতিবিদ সম্পর্কে আলোচনা করছি, যাঁর শিক্ষার সঙ্গে কারও তুলনা চলে না।

Bangla

ভারতের সবচেয়ে বেশি পড়াশোনা করা রাজনৈতিক নেতা হলেন শ্রীকান্ত জিচকার

ভারতে যখনই সবচেয়ে বেশি পড়াশোনা করা ব্যক্তির কথা আসে, তখনই একটাই নাম সামনে আসে ড. শ্রীকান্ত জিচকার। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি পড়াশোনা করা রাজনৈতিক নেতাও।

Image credits: social media
Bangla

মহারাষ্ট্রের কাটোলে জন্ম ড. শ্রীকান্ত জিচকারের, তাঁর জীবন অনুপ্রেরণা

শ্রীকান্ত জিচকারের জন্ম ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪ সালে মহারাষ্ট্রের কাটোলে। এই অসাধারণ মানুষটি যা করে দেখিয়েছেন, তা হয়তো কেউই করতে পারবে না।

Image credits: social media
Bangla

পড়াশোনার এমন নেশা, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল!

শ্রীকান্ত জিচকার ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে প্রতি গ্রীষ্ম ও শীতকালে কোনও না কোনও পরীক্ষা দিয়েছেন। মোট ৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় পাশ করে ২০ টি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। 

Image credits: social media
Bangla

ওষুধু থেকে ইতিহাস পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি

এই ডিগ্রিগুলি এক বা দুটি ক্ষেত্রে নয়, বরং মেডিসিন, আইন, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রাজনীতি, দর্শন, সংস্কৃত, সাংবাদিকতা এবং ইতিহাসের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছিল।

Image credits: social media
Bangla

ড. শ্রীকান্ত জিচকারের অর্জিত ডিগ্রিগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

  • MBBS এবং MD
  • সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, সংস্কৃতে M.A.
  • LLM (আন্তর্জাতিক আইন)
  • MBA এবং DBM
  • D.Litt. (সংস্কৃত)
  • সাংবাদিকতা এবং প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসে মাস্টার্স
Image credits: social media
Bangla

IAS এবং IPS উভয় পরীক্ষাতেই পাশ করেছিলেন ড. শ্রীকান্ত জিচকার

তিনি প্রথমে UPSC পাশ করে ১৯৭৮ সালে IPS হন। দ্বিতীয়বার UPSC পরীক্ষা দিয়ে ১৯৮০ সালে IAS হন। কিন্তু IAS-এর চাকরিও বেশিদিন করেননি। তিনি রাজনীতিতে কিছু বড় করতে চেয়েছিলেন।

Image credits: social media
Bangla

২৬ বছর বয়সে প্রথমবার বিধায়ক ও মন্ত্রী হয়ে যান ড. শ্রীকান্ত জিচকার

মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি মহারাষ্ট্রের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হন। এরপর মন্ত্রী হন এবং একসঙ্গে ১৪টি বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

Image credits: social media
Bangla

পরবর্তীকালে রাজ্যসভার সাংসদও নির্বাচিত হন ড. শ্রীকান্ত জিচকার

শ্রীকান্ত জিচকার ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন, তারপর ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের সদস্য হন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন।

Image credits: social media
Bangla

শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে নাগপুরে স্কুল খুলেছিলেন ড. শ্রীকান্ত জিচকার

১৯৯২ সালে তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে আরও একটি বড় পদক্ষেপ নেন। সান্দিপনি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজও নাগপুরে শিশুদের শিক্ষা দিচ্ছে।

Image credits: social media
Bangla

৪৯ বছর বয়সে হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ড. শ্রীকান্ত জিচকারের

২ জুন ২০০৪ সালে, ৪৯ বছর বয়সে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় শ্রীকান্ত জিচকারের মৃত্যু হয়। নাগপুরের কাছে কান্দোলির কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল।

Image credits: social media
Bangla

শুধু ডিগ্রিই নয়, প্রশাসন, রাজনীতি এবং সমাজসেবাতেও নজির গড়েছেন

ড. শ্রীকান্ত জিচকার শুধু ডিগ্রিই অর্জন করেননি, বরং তিনি ছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি পড়াশোনা, প্রশাসন, রাজনীতি এবং সমাজসেবা প্রতিটি ক্ষেত্রেই উদাহরণ স্থাপন করেছেন।

Image credits: social media

PM Cook Selection: প্রধানমন্ত্রীর রান্নার জন্য কুক নির্বাচন হয় কীভাবে?

কীভাবে নির্বাচন কর হয় প্রধানমন্ত্রীর রাঁধুনি? কার হতে গুরুদায়িত্ব

কোটার ৭ টি সেরা হোস্টেলের ভাড়া ও সুবিধাগুলি দেখুন

F 16 vs Su 30 MKI: ভারত ওপাকিস্তান বিমানবাহিনীর তুলনা