এ বছর সোজা রথযাত্রা ছিল গত ২০ জুন, মঙ্গলবার। উল্টোরথ পালিত হবে ২৮ জুন, বুধবার। আষাঢ় মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয় রথযাত্রা।
রথযাত্রা পালিত হওয়ার ৮দিন পরে দশমী তিথিতে উল্টোরথ যাত্রা হয়। ভক্তরাই এই রথ পুরীর রাস্তায় টানেন। রথযাত্রাটি প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে গুন্ডিচা মন্দিরে শেষ হয়।
গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছতে প্রায় ১ দিন সময় লাগে রথের। এখানেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা ৮ দিন থাকার পরে ৯ দিনের মাথায় বেরিয়ে পড়েন। বুধবার সেই নবম দিন।
রথযাত্রার ঠিক ৮ দিনের মাথায় গুন্ডিচা মন্দির থেকে জগন্নাথ দেব যাত্রা করেন নিজ ধাম পুরীর মন্দিরের উদ্দেশ্যে। এই দিনটিকে বাঙালীরা বলেন উল্টোরথ।
জেনে নিন যে গুন্ডিচা দেবী হলেন জগন্নাথ দেবের মাসি। ইতিহাস বলে এই তথ্যও ভুল জানি আমরা। গুন্ডিচা দেবী ছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুন্মের স্ত্রী।
রুদ্ধদ্বারে জগন্নাথ মন্দির নির্মানকালে বিশ্বকর্মার কাজে ভঙ্গ দিয়েছিল তিনিই। তাই এই কদিন হাওয়া বদল করতে জগন্নাথ দেব যান রাণী গুন্ডিচার নামাঙ্কিত মন্দিরে।
৮ দিন অতিক্রান্ত হলে তিনি রওনা দেন মন্দিরের উদ্দেশ্যে। পথে তাঁর রথ থামে মাসির বাড়ির কাছে। একেই উল্টোরথ বলে জানি আমরা।
পুরীতে এরকম কোনও নামে কোনও অনুষ্ঠান হয় না। ওড়িশায় এই দিনটিকে বলা হয় বাহুরাযাত্রা।