মায়ানমারে প্রচণ্ড শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৪ জন প্রাণ হারালেন। অনেক বাড়ি, সেতু ভেঙে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। এরপর আফটারশকের তীব্রতা ছিল ৬.৪। এই কারণেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি।
মায়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে ১,০০০ শয্যার একটি হাসপাতাল চোখের পলকে কবরস্থানে পরিণত হয়। এটি শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল।
ভূমিকম্পের কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকা বহু রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও, বহু মানুষ আহত হয়েছেন। রোগীদের হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও, মায়ানমারের মান্দালে শহরে একটি মসজিদ ভেঙে পড়ে। যার ফলে ১০ জনের মৃত্যু হয় এবং বহু মানুষ আহত হন।
এছাড়াও, মায়ানমারে ইরাবতী নদীর উপর তৈরি ৫১ বছর পুরনো একটি সেতু সম্পূর্ণভাবে ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। বহু মন্দির ও বৌদ্ধ ধর্মস্থলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্যাংককের চাতুচাক এলাকায় একটি ৩০ তলা নির্মীয়মাণ বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে। যেখানে ৮০ জনের বেশি লোক চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখানে ৪০০ জন কাজ করছিলেন।
মায়ানমারের বাসিন্দারা বলছেন, এটি তাঁদের দেখা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প। যা মানুষকে সতর্ক হওয়ার সুযোগটুকুও দেয়নি। ভূমিকম্পের পরেও বেশ কয়েকবার আফটারশক অনুভূত হয়েছে।
মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের অনেক জায়গাতেই এখনও পৌঁছতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ফলে সেখানকার পরিস্থিতি কী, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের ফলে একটি নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়েছে। এর ফলে সেখানে আটকে পড়েন অন্তত ১১৭ জন। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের।