বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে সারা বিশ্বের সুখী দেশগুলির তালিকা। ১৪৭টি দেশের মধ্যে ১১৮ নম্বরে আছে ভারত।
ফের বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হয়ে উঠেছে ফিনল্যান্ড। বিভিন্ন সামাজিক, শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিচারে শীর্ষে আছে ফিনল্যান্ড।
সারা বিশ্বের সুখী দেশগুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ডেনমার্ক। স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের দেশগুলি সবদিক থেকেই উন্নত। এই কারণে এখানকার নাগরিকরাও সুখী।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৫ অনুযায়ী সারা বিশ্বের সুখী দেশগুলির তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে আইসল্যান্ড।
২০২২ সালে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে ৯৪ নম্বরে ছিল ভারত। কখনও এর চেয়ে ভালো জায়গায় থাকতে পারেনি ভারত। ২০১২ সালে ১৪৪ নম্বরে ছিল ভারত।
সামাজিক সহায়তা, জিডিপি পার ক্যাপিটা, স্বাস্থ্যকর জীবন, স্বাধীনতা, উদারতা ও দুর্নীতির বিষয়ে মানুষের ধারণার ভিত্তিতে সুখী দেশগুলির তালিকা তৈরি করা হয়।
ভারতের মানুষ সামাজিক সহায়তার ক্ষেত্রে ভালো জায়গায়। বিপুল জনসংখ্যা, সম্প্রদায়-ভিত্তিক সংস্কৃতি এবং পরিবারের অনেকে মিলে একসঙ্গে থাকা ভারতীয়দের পক্ষে ভালো বিষয়।
ভারতের বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন, সমাজে তাঁরা নিজেদের পছন্দমতো থাকতে পারেন না এবং সন্তোষজনক জীবনযাপন করতেও পারেন না।
সুখী দেশগুলির তালিকায় ৬৮ নম্বরে চিন। ১০৯ নম্বরে পাকিস্তান। ১৩৩ নম্বরে শ্রীলঙ্কা এবং ১৩৪ নম্বরে বাংলাদেশ।
সুখী দেশগুলির তালিকায় প্রথম ২০-এর মধ্যে ইউরোপের দেশগুলির আধিপত্য ফের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রথমবার সবচেয়ে সুখী ১০ দেশের তালিকায় জায়গা পেয়েছে কোস্টারিকা ও মেক্সিকো।
সুখী দেশগুলির তালিকায় ২৪ নম্বরে নেমে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সবচেয়ে খারাপ জায়গায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।
সারা বিশ্বের সুখী দেশগুলির তালিকায় ২৩ নম্বরে নেমে গিয়েছে ইংল্যান্ড। ২০১৭ সালের পর এই তালিকায় সবচেয়ে খারাপ জায়গায় ব্রিটেন।