সারা বিশ্বে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার। ফ্রেঞ্চ কিস নিয়েও চর্চা হয়। অথচ, নামের মধ্যে ফ্রেঞ্চ থাকলেও, এগুলির সঙ্গে ফ্রান্সের কোনও যোগই নেই।
নামের কারণে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইকে বেশিরভাগ মানুষ ফ্রান্সের খাবার বলে মনে করেন, কিন্তু এটি বেলজিয়ামের খাবার এবং সেখানেই এর উৎপত্তি।
ফ্রেঞ্চ কিসকে আগে 'ফ্লোরেন্টাইন কিস' বলা হত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ থেকে বাড়ি ফিরে আসা ব্রিটিশ এবং আমেরিকান সৈন্যদের থেকে ফ্রেঞ্চ কিসিং শব্দটি এসেছে।
ডিম এবং রুটি দিয়ে তৈরি খাবার ফ্রেঞ্চ টোস্টও আসলে ফ্রান্সের নয়। এটি রোমান সাম্রাজ্যের সময়কার বলে মনে করা হয়।
ফ্রেঞ্চ প্রেস হল কফি তৈরির মেশিন, যার পেটেন্ট নিয়েছিলেন ইতালীয় ডিজাইনার আত্তিলিও ক্যালিমানি। এটিও আসলে ফ্রান্সের নয়।
ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর নখের সৌন্দর্য বাড়ায়। প্রথমে একজন আমেরিকান মেকআপ শিল্পী এটি ব্যবহার করেছিলেন। ফ্রান্সের মানুষ এটি বেশি পছন্দ করায় ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর নামকরণ করা হয়।
বলা হয় যে, সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়স পর্যন্ত ফ্রান্সের মহিলারাই বেঁচে থাকেন। ফরাসি মহিলাদের সৌন্দর্যও অসামান্য।
ফ্রান্স বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে মৃত ব্যক্তিকে বিয়ে করা যায়। তবে এর জন্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়।