এই দ্বিধার মধ্যে পড়েই দুপুরের ভাতঘুম এড়িয়ে যাচ্ছিলেন অনেকে। এবিষয়ে সারা বিশ্ব জুড়েই সংশয় চলছিল।
৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সি প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এবিষয়ে একটি ইতিবাচক তথ্য আবিষ্কার করেছেন।
জানা গেছে যে, প্রত্যেকদিন দুপুরবেলা অন্তত ৩০ মিনিট ঘুম হলে তা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে।
অর্থাৎ ডিমেনশিয়া (Dementia) প্রতিরোধ করার জন্যেও সহায়তা করে দিনের বেলার ঘুম।
সীমিত সময়ের জন্য নিয়মিত ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিলে মস্তিষ্ক সংকুচিত হওয়া কমে যায়।
মস্তিষ্কের সংকোচনের গতি যত ধীরে ধীরে হবে, মানুষের বার্ধক্যও আসবে তত ধীর গতিতে।
মস্তিষ্ক সুস্থ ও সবল রাখতে দুপুরবেলা ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঘুমোনো যেতে পারে।
১৫ মিনিটের নীচের ঘুমকে যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম হিসাবে ধরা হয় না। আবার, বিশ্রামের পরিমাণ যদি ৩০ মিনিট ছাড়িয়ে যায়, তাহলে সেটা বড় ঘুম হয়ে যায়।
১৫ মিনিটের কম বিশ্রাম তৎক্ষণাৎ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করলেও তা এক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ে যায়। ১ ঘণ্টার বেশি ঘুমোলে তা মস্তিষ্ককে তন্দ্রাচ্ছন্ন করে দেয়, ফলে উপকারের থেকে অপকারই বেশি হয়।
তা শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাই দুর্গাপুজোর সময় রাত জেগে ঠাকুর দেখলে ঘুমিয়ে নিতে পারেন দিনের বেলাতেই।