আশা ও বিশ্বাসের সুতোয় বাঁধা এই দিনের ইতিহাস। বছরের পর বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের সফল ফলাফলের সঙ্গে জড়িত এই দিনের ইতিহাস।
১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন তথা আইভিএফের মাধ্যমে প্রথম শিশুর জন্ম হয়, এই শিশুর নাম লুইস জয় ব্রাউন।
এই অবিশ্বাস্য কাজ করার জন্য ভ্রূণ বিশেষজ্ঞদের সম্মান জানাতে পালন করা হয় এই দিনটি। ভারতের প্রথম টেস্টটিউব শিশুর নাম কানুপ্রিয়া আগরওয়াল, যার জন্ম হয় কলকাতায়।
লুইসের জন্মের ৬৭ দিন পর, অর্থাৎ ১৯৭৮ সালের ৩ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই কৃতিত্ব কলকাতার আগরওয়াল দম্পতিদের জন্য আশার আলো নিয়ে এসেছিল।
এক ভ্রুণ বিশেষজ্ঞের মতে, ভ্রূণ বিশেষজ্ঞরা ডাক্তার নয়, তারা হলেন বিজ্ঞানী, যারা পর্দার আড়ালে ল্যাবরেটরিতে কাজ করেন।
ভ্রূণ স্থানান্তর এবং সংরক্ষণ একটি জটিল কাজ, টেস্টটিউবে ভ্রূণটি সঠিকভাবে বিকশিত হচ্ছে কিনা, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন ভ্রূণ বিশেষজ্ঞরা।
বন্ধ্যাত্ব একটি সমস্যা যা অনেক মানুষকে প্রভাবিত করে। নারী হোক বা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই অভিভাবক হওয়ার বিষয়ে কিছু ঘাটতি বা অসুবিধা দেখতে পাওয়া যায়।
এমন মানুষদের জন্য আশার নতুন দিশা দেখিয়েছে টেস্টটিউবের মাধ্যমে বেবির পদ্ধতি।
IVF প্রযুক্তি হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে গর্ভের বাইরে ভ্রূণগুলিকে পরীক্ষাগারে একটি টেস্ট টিউবে প্রস্তুত করা হয়।
এই প্রক্রিয়ার অধীনে, মহিলার শরীর থেকে ডিম্বাণু বের করে শুক্রাণু দিয়ে প্রস্তুত করা ভ্রূণ মহিলার জরায়ুতে স্থানান্তরিত করার মাধ্যমে শুরু হয় গর্ভাবস্থার প্রক্রিয়া।