প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পালিত হয় পিতৃ দিবস। বিশ্বের প্রায় ৮৭টি দেশে পালিত হয় এই দিনটি। পিতৃ দিবসের সূচনা হয়েছিল মার্কন মুলুকে। এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক গল্প।
১৯১০ সালে ওয়াশিংটনে প্রথম পালিত হয়েছিল দিনটি, সোনোরা স্মার্ট ডড নামে এক মাতৃহারা মহিলার বাবা কাজ করতেন সেনাবাহিনীতে, তিনি খুব কষ্টে তাঁর ছেলে মেয়েদের বড় করেছিলেন
তাঁর এই কষ্টকে সম্মান জানাতেই তাঁর মেয়ে সোনোরা ফাদার্স ডে পালন করেন। তিনি ৫ জুন দিনটি পালন করতে চেয়েছিলেন। কারণে সেদিন ছিল তাঁর বাবার জন্মদিন।
অন্যদিকে, অনেকেরই মত সোনোরারের আগেও পালিত হয়েছে ফাদার্স ডে। ১৯০৮ সালে ৫ জুন পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের গির্জায় দিনটি পালিত হয়েছিল। এই নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।
সোনোরার আর তাঁর সঙ্গীরা ফাদার্স ডে দিনটিকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রচার করেছিলেন। শেষে ১৯১৩ সালে মার্কিন সংসদে ফাদার্স ডে দিনটিকে ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়
১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন দিনটি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। সেই থেকে পালিত হয়ে আসছে ফাদার্স ডে।
অনেকের দাবি মধ্যযুগে ক্যাথলিক ইউরোপে ফাদার্স ডে পালিত হত। সেন্ট জোসেফকে বলা হত নিউট্রিটর ডোমিনি। তাকে সম্মান জানাতেই পালিত হত ফাদার্স ডে।
প্রায় ৮৭টি দেশে পালিত হয় ফাদার্স ডে। এই তালিকায় রয়েছে ভারত, গ্রেট ব্রিটেন, জাপান, চিন, মায়ানমার, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম, ভেনেজুয়েলা সহ আরও কয়টি দেশ।
প্রতিটি দেশেই আলাদা আলাদা ভাবে পালন করে দিনটি। এবছর ১৮ জুন পিতৃদিবস। উদ্দেশ্য একটাই- বাবার সুস্বাস্থ্য কামনা করা ও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন