ডিজিটাল ফর্ম্যাটে এখন এটি খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং ব্যবহারকারীর পরিচয় অনেক বেশি ব্যক্তিগত থাকে। ফলে, পর্নোগ্রাফি এখন অনেক বেশি সহজলভ্য।
জার্নাল অফ সেক্স রিসার্চ-এ প্রকাশিত ২০২০ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৯১.৫% পুরুষ এবং ৬০.২% মহিলা নিজের যৌনজীবন উত্তেজিত করে তুলতে পর্নোগ্রাফির সাহায্য নিয়ে থাকেন।
কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জন্য এটি একটি সমস্যা হয়ে উঠতে পারে, যা দাম্পত্য জীবনে ক্ষতিসাধন করতে পারে। সম্পর্কের ভিত্তি যদি পর্নোগ্রাফি হয়ে ওঠে, তাহলে সম্পর্ক সম্বন্ধে সাবধান থাকুন।
পর্ন ছবি সম্পর্কের অন্দরে গোপনীয়তা , লজ্জা, বিচ্ছিন্নতার সৃষ্টি করে। এর ফলে দম্পতির মধ্যে মিথ্যের আশ্রয় নেওয়া শুরু হয়। এই মিথ্যা সম্পর্ককে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
ড. জন ও জুলি গটম্যান লিখেছেন যে, পর্নোগ্রাফি দম্পতির অন্তরঙ্গতা এবং সম্পর্কের সম্প্রীতি নষ্ট করে। একাকীত্ব বা স্ট্রেস থেকে পালানোর জন্যেও মানুষ পর্নের সাহায্য নিয়ে থাকেন।
পর্নোগ্রাফি হল যৌনতার বন্ধন সংস্করণের একটি দুর্বল অপশন। অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফির ব্যবহার দম্পতিকে অনেক কম যৌন মিলনের দিকে নিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত যৌন মিলনের তৃপ্তি হ্রাস করে।
বহু ক্ষেত্রে দুজনের আবেগ ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার দরুন শারীরিক মিলন হলেও মনের মিল হয় না। ফলে, দাম্পত্য-জীবন শুধুমাত্র যৌনতাতেই নির্ভরশীল হয়ে থাকে।
তেমনই পর্ন ছবি দেখলেও মানুষ তার সঙ্গে নিজের যৌন মিলনের মিল কামনা করেন। সেজন্য, পর্ন ছবিতে যতই কোনওকিছু অবাস্তবিক বা সাজানো দেখানো হোক, বাস্তবিক জীবনেও মানুষ সেটাই প্রত্যাশা করেন।
যৌন সঙ্গী কেমন হওয়া উচিত, যৌনতায় তার কেমন করতে ইচ্ছুক হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে একটি বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে পর্ন। এমন প্রত্যাশা কখনই পূরণ হয় না বলে দম্পতির মধ্যে হতাশা তৈরি হয়।
সাজানো কৃত্রিম সৌন্দর্য্যের সঙ্গে তাঁরা নিজের মিল পান না বলে হীনমন্যতায় ভোগেন, অনেকেই নিজেকে যৌনভাবে অবাঞ্ছিত, মূল্যহীন, দুর্বল ও বোকা বলে ভাবেন এবং ধীরে ধীরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।