জগন্নাথ রথযাত্রার আচার অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়। রথযাত্রার প্রায় ১৮ দিন আগে, ভগবান জগন্নাথ, ভাই বলরাম এবং বোন সুভদ্রাকে একটি আনুষ্ঠানিক জলস্নান করানো হয়
স্নান যাত্রার দিন, জগন্নাথ মন্দিরের উত্তর দিকের কূপ থেকে তোলা ১০৮ বার বিশুদ্ধ জল দিয়ে ভগবানকে স্নান করানো হয়। স্নানের পরে ১৫ দিন পর্যন্ত ভগবান অসুস্থ হয়ে পড়েন
১৫ দিন পর ভগবান ফিরে আসেন এবং ভক্তদের দর্শন দেন। ঈশ্বরের এই দর্শনকে বলা হয় নব যুব দর্শন ও চক্ষু উৎসব এটা কে বলে আর নেত্রোৎসবের পরের দিনই পালিত হয় জমকালো জগন্নাথ রথযাত্রা উৎসব!
প্রতি বছর আষাঢ় মাসে (জুন-জুলাই) শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে রথযাত্রা বের হয়। জগন্নাথ রথযাত্রার রথের উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট, রথের নাম নন্দীঘোষ, অন্যদিকে ভগবান বলভদ্রেরর নাম তলধ্বজ।
পথে অনেক জায়গায় রথযাত্রা থামে। যেখানে দেবতারা ভক্তদের দর্শন দেন। ভক্তরা পথে ফল, মিষ্টি এবং ফুলের মতো জিনিস নিবেদন করে।
রথযাত্রাটি প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে এবং গুন্ডিচা মন্দিরে শেষ হয়, যেখানে ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রা ৯ দিন বাস করেন।
রথযাত্রার গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছতে এক দিন সময় লাগে এবং উল্টো রথ পর্যন্ত দেবতারা এখান থাকেন। রথযাত্রা যখন ফিরে আসে তখন বলা হয় বহুদা যাত্রা। জগন্নাথের রথ মাসি বাড়ি যায়।
রথযাত্রার প্রায় ১৮ দিন আগে, ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাকে যে জলস্নান করানো হয় সেই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে ৪ঠা জুন রবিবার
স্নানযাত্রার ১৫ দিনের দিন শুরু হয় রথ যাত্রা। ২০২৩-র রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে ২০ জুন (৪ আষাঢ়), মঙ্গলবার, উল্টো রথযাত্রা (পুনর্যাত্রা) হবে ২৮ জুন (১২ আষাঢ়), বুধবার