হিন্দুদের শাস্ত্রে পৃথিবীকে মা বলা হয়। পৌরানিক যুগে পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলা হত। অম্বুবাচীর তিনদিনকে পৃথিবীর ঋতুকাল ধরা হয়। বলা হয় অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন
অসম শহরের কামাখ্যা দেবীর মন্দিরকে ভারতে অবস্থিত ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, এখানে দেবী সতীর যোনি অংশ পতিত হয়েছিল।
তাই কামাখ্যা মন্দিরে দেবীর যোনি পূজা করা হয়। এখানে দেবীর কোনও মূর্তি নেই। যোনির অংশ হওয়ার কারণে, দেবী রজস্বলা (ঋতুস্রাব)ও এখানে হয়।
একমাত্র মন্দির যেখানে দেবী কামাখ্যা বছরে একবার মাসিক হয়। দেবী যখন ঋতুচক্রে থাকেন, তখন মন্দিরও তিনদিন বন্ধ থাকে এবং দেবীর দর্শনও নিষিদ্ধ।
মনে করা হয়, এই সময়ে কামাখ্যা দেবী মাসিক চক্রে বাস করেন। রাজস্বলার সময়, দেবী কামাখ্যার প্রবাহিত রক্তে সমগ্র ব্রহ্মপুত্র নদর জল লাল হয়ে যায়
অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, বৃক্ষরোপণ, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ, এই সময় ভুলেও মূর্তি বা পট স্পর্শ করবেন না
ভারতের একাধিক স্থানে অম্বুবাচী উৎসব 'রজঃউৎসব' নামে পালিত হয়। কামাখ্যা দেবীর মন্দিরে পূজার নিয়ম অন্যান্য মন্দিরের থেকে আলাদা। এখানে প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের লাল রঙের কাপড় দেওয়া হয়
অম্বুবাচী প্রবৃত্তি -- ৭ই আষাঢ়, ইংরেজি ২২ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার প্রাতঃ ৫ : ৪৯ মিনিট
অম্বুবাচী নিবৃত্তি -- ১১ই আষাঢ় ইংরেজি ২৬ জুন ২০২৩ সোমবার প্রাতঃ ৫: 8০ মিনিট