হিন্দুধর্মে মিথ্যা বলা পাপ বলে মনে করা হয়। কিন্তু কিছু বিশেষ কাজের জন্য বলা মিথ্যাকে পাপ হিসাবে গণ্য করা হয় না, অর্থাৎ এই সব ক্ষেত্রে আপনি দ্বিধা ছাড়াই মিথ্যা বলতে পারেন।
দৈত্যগুরু শুক্রাচার্য তাঁর একটি নীতিতে এমন ৮টি কাজের কথা বলেছেন, যা করার সময় মিথ্যা বললে পাপ হয় না। চলুন শুক্রাচার্যের এই নীতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
শুক্রাচার্য তাঁর নীতিতে একটি শ্লোক লিখেছেন, সেই অনুসারে-
नर्मविवाहे च वृत्तयर्थे प्राणसंकटे।
गोब्राह्ममार्थे हिंसायां नानृतं स्याज्जुगुप्सितम्।।
স্ত্রীকে খুশি করতে, ঠাট্টা-মশকরায়, বিয়ের জন্য, জীবিকা বাঁচাতে, নিজেকে বাঁচাতে, গরু-ব্রাহ্মণকে রক্ষা করতে বা অন্য কাউকে বাঁচাতে মিথ্যা বললে পাপ হয় না।
আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য কোনও মিথ্যা বলেন, তবে তাতে আপনার কোনও পাপ হবে না। স্ত্রীকে খুশি রাখা স্বামীর কর্তব্য। এর জন্য বলা মিথ্যা ভুল নয়।
ঠাট্টা-মশকরার সময়ও আপনি দ্বিধা ছাড়াই মিথ্যা বলতে পারেন। এই সময়ে বলা মিথ্যাকে মিথ্যা বলে গণ্য করা হয় না। এমনটা করলে আপনার কোনও পাপ হবে না।
বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক করার সময়ও আপনি মিথ্যা বলতে পারেন, এমনটাই শুক্রাচার্যের মত। যদি সামান্য মিথ্যা কথায় কারও সংসার টিকে যায়, তবে তাতে কোনও ক্ষতি নেই।
যদি আপনার চাকরি এবং নিজের জীবন বাঁচানোর প্রশ্ন আসে, তবে এই সময়েও আপনি নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলতে পারেন। কারণ আত্মরক্ষাই সবচেয়ে বড় ধর্ম বলে মনে করা হয়।
হিন্দুধর্মে গরু এবং ব্রাহ্মণ উভয়কেই পূজনীয় বলে মনে করা হয়। যদি এই দুজনকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলতে হয়, তবে একেবারেই দ্বিধা করা উচিত নয়।
যদি আপনার সামনে কারও জীবন বিপন্ন হয় এবং আপনার মিথ্যা কথায় তার জীবন বাঁচতে পারে, তবে এমন সময়েও আপনি কিছু না ভেবে মিথ্যা বলে তার জীবন বাঁচাতে পারেন।