এবারের আইপিএল-এর নিয়মে একাধিক বদল আসতে চলেছে। ফুটবলের মতো ম্যাচের মাঝপথে খেলোয়াড় বদল, টসের পর প্রথম একাদশ ঘোষণার মতো অনেক নতুন নিয়ম দেখা যাবে।
এতদিন আউটের ক্ষেত্রে ডিআরএস নিতে পারতেন ফিল্ডিং করা দলের অধিনায়ক বা ব্যাটাররা। তবে এবারের আইপিএল-এ নো-বল, ওয়াইড বলের সিদ্ধান্তেও সন্তুষ্ট না হলে ডিআরএস নেওয়া যাবে।
ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের মতে, নো-বল, ওয়াইড বলেও ডিআরএস-এর নিয়ম চালু করা হলে খেলার গতি বাধাপ্রাপ্ত হবে। আবার অনেকের মতে, মাঠের আম্পায়ারদের ভুল সংশোধন করার জন্যই ডিআরএস দরকার।
অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের আদলে এবার আইপিএল-এও চালু করা হচ্ছে 'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার রুল'। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি টি-২০ টুর্নামেন্টে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় এই নিয়ম।
আইপিএল-এ প্রথমবার ম্যাচের যে কোনও সময় একজন খেলোয়াড়কে বদলাতে পারবে সংশ্লিষ্ট দলগুলি। ইনিংসের শুরুতে, উইকেট পড়লে, ব্যাটার আহত হলে, ওভারের মাঝপথে, ওভারের শেষে বদলানো যাবে খেলোয়াড়।
আইপিএল-এর নিয়ম অনুযায়ী ৪ জনের বেশি বিদেশি ক্রিকেটারকে খেলোনা যাবে না। ভারতীয় ক্রিকেটারকে বদলে ভারতীয়কেই নামাতে হবে। তবে প্রথম একাদশে ৩ বিদেশি থাকলে পরিবর্ত হতে পারেন বিদেশি।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত জানিয়েছেন, প্রতিটি দলের কোচ, অধিনায়ককে চিন্তায় ফেলে দিতে পারে 'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার রুল'। সমস্যা তৈরি করতে পারে এই নিয়ম।
এতদিন টসের সময়ই দুই দলের অধিনায়ককে জানিয়ে দিতে হত, কারা খেলছেন। তবে এবারের আইপিএল-এ টস করার পর প্রথম একাদশ ঘোষণা করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট দলগুলির অধিনায়করা।
নন-স্ট্রাইকারকে রান আউট করার নিয়ম অনেকদিন ধরেই চালু আছে। কিন্তু এতদিন বেশিরভাগ বোলারই এই নিয়ম প্রয়োগ করতেন না। তবে এবার আর কোনও বিতর্ক থাকছে না। নিশ্চিন্তে এই নিয়ম প্রয়োগ করা যাবে।
এতদিন ক্যাচ আউটের ক্ষেত্রে ব্যাটাররা প্রান্ত বদল করলে নতুন ব্যাটারকে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকতে হত। কিন্তু এবার থেকে নতুন ব্যাটার সবসময় স্ট্রাইকার প্রান্তেই যাবেন।